ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম (৪৫)।তৃতীয় শ্রেণীর এই চাকরির ১১ তম গ্রেডের সর্বোচ্চ বেতন ৩২ হাজার ২৪০ টাকা। এ বেতনে চাকরি করেই কোটিপতি তিনি। বাস করেন উল্লাপাড়া শহরের প্রাণকেন্দ্রে আলিশান ফ্লাটে। এ ভূমি কর্মকর্তা বর্তমানে সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ উপজেলার চান্দাইকোনা ইউনিয়নের দায়িত্ব পালন করছেন। রায়গঞ্জ উপজেলার নলকা ইউনিয়নের অন্তর্গত পূর্ব ফরিদপুর গ্রামের কৃষক সুজাবাদ আলীর বড় ছেলে নায়েব সেরাজুল ইসলাম।
সেরাজুল ইসলাম (০৭-০৬-২০০৭ ইং সালে ) ইউনিয়ন ভূমি সহকারী হিসেবে চাকরি যোগদান করেন। এরপর কপাল খুলে যায় এ কর্মকর্তার। আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। মাত্র কয়েক বছরের ব্যবধানে খাজনা, খারিজ, নামজারি ও পর্চার কাজে ঘুষ নিয়ে তিনি সম্পদের পাহাড় গরেছেন বলে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগীরা। জমির নামজারিসহ ভুমি সংক্রান্ত কোন কাজ করতে গেলেই সিরাজুল ইসলামকে ঘুষ দিতে হয়।সরে জমিনে ও তথানুসন্ধানে জানা যায়,সেরাজুল ইসলাম নায়েবের চাকুরী নেওয়ার পরে তিনি তার গ্রাম পূর্ব ফরিদপুর তার বাবা সুজাবত আলীর দুই বিঘা ফসলে জমির থেকে এখন তিনি ২০ বিঘা ফসলি জমির মালিক এবং তার গ্রামের বাড়িতে বাপ দাদার পুরাতন বাড়ি ভেঙে নতুন করে জমিদার বাড়ি নির্মাণ করেন। সিরাজুল ইসলাম তার চাকুরির ১৭ বছরে ২০ বিঘা ফসলি জমির এবং একটি জমিদার বাড়ির মালিক হয়েছে, যার প্রত্যেক বিঘা জমির আনুমানিক মুল্য ২০ লক্ষ টাকা করে।
সরজমিনে সংবাদকর্মীরা তার এলাকায় গেলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যক্তি বলেন, সেরাজুল ইসলাম নায়েবে চাকরি নেওয়ার আগে ওর বাবা সুযাবত আলির এত সহ সম্পত্তি ছিল না। কিন্তু সেরাজুল ইসলাম চাকরি নেওয়ার পরে মনে হয় উনারা যেন আলাদিনের চেরাগ হাতে পেয়েছে। অনিয়ম ও দুর্নীতি ছাড়া একজন সরকারি কর্মচারী এত সম্পদ অর্জন সম্ভব নয়।
চান্দাইকোনা ইউনিয়নের সিমলা গ্রামের ভুক্তভোগী জব্বার শেখ বলেন, জমির সরকারি ফি ১১,৭০ টাকা কিন্তু নায়েব সেরাজুল ইসলাম এবং তার অফিস সহায়ক কোমল আমার কাছ থেকে ঘুষ নিয়েছিল দশ হাজার টাকা। নায়েব সেরাজুল ইসলামকে প্রশ্ন করা হলে তিনি সংবাদ কর্মীদেরকে বলেন, যে আমার সম্পত্তি আমি যেভাবে ক্রয় করি না কেন সেটা আপনাদের জানার বিষয় নয়। নায়েব সেরাজুল ইসলাম সংবাদ কর্মীদেরকে হুমকি দিয়ে বলেন, আমার বিরুদ্ধে যা পারেন লেখেন আমার কিছু যায় আসে না। উক্ত বিষয়ে উর্ধবতন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করছে ভুক্তভোগী জনসাধারণ।