প্রেম মানে না জাতি ধর্ম বাধা হয় না বয়স ৭ বছর ধরে প্রাইভেট হসপিটালের কর্মচারীর সাথে ডাক্তারের পরকীয়া সম্পর্ক। অবশেষে (ফোর ইন ওয়ান) ৩য় স্বামীকে ডিভোর্স করে চতুর্থ স্বামী বেছে নিলেন গাইনি বিশেষজ্ঞ, সরকারি মেডিকেল কলেজের ডাক্তার জেবুন্নেছা। লাইলী-মজনু প্রেম কাহিনির মত অসম প্রেমের ইতি ঘটিয়ে গোপনে বিয়ে করায় তাদের নিয়ে এলাকায় চলছে নানা গুঞ্জন ও তিরস্কার। ঘটনাটি ঘটিয়েছে সিরাজগঞ্জ শহীদ এম, মনসুর আলী মেডিকেল কলেজের লেকচারার হাটীকুমরুল রোড হেলথ কেয়ার গাইনী বিশেষজ্ঞ ডাক্তার জেবুন্নেছা ও বর্তমান ঐ হসপিটালের পরিচালক ফিরোজ মাহমুদ। এদিকে নারী লোভী রসিক প্রেমিক ফিরোজ তার স্ত্রী লিমাকে তালাক দেওয়ায় একটি শিশু সন্তান নিয়ে বিপাকে পড়ে সু বিচারের আশায় দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন।
সরেজমিনে গিয়ে জানা গেছে, তাড়াশ উপজেলার শরাপপুর গ্রামের মৃত হযরত আলীর ছেলে ফিরোজ (৩৪) এর সাথে সলঙ্গা থানার নলকা ইউপির সুজাপুর গ্রামের আব্দুল কুদ্দুসের মেয়ে লিমা (৩০) এর সাথে ১২ বছর আগে ইসলামী শরীয়তে বিয়ে হয়। তাদের সংসারে আবু হুরায়রা ১০ নামের একটি সন্তানে রয়েছে গরিব পরিবারের মাত্র এইচ এস সি পাস ফিরোজ বেকার বলে হাচি কুমরুল রোডে লিমার ভাইদের প্রতিষ্ঠিত “মা জেনারেল হসপিটাল ” এ কর্মচারী হিসেবে নিয়োগ দেয় ফিরোজকে। সেখানে প্রতি মাসে ঢাকা থেকে গাইনী বিশেষজ্ঞ ডাক্তার জেবুন্নেসা রোগী দেখার জন্য আসতে থাকেন। ডাক্তার জেবুন্নেসা ২দিন রোগী দেখেন বলে মাঝেমধ্যে কর্মচারী ফিরোজের বাসায় থাকতেন। জেবুন্নেসা ধর্ম ছেলে মেয়ে হিসেবে ফিরোজ ও তার বউকে সম্বোধন করতে থাকেন।
সম্পর্কের তোয়া কানা করে কিছুদিন যেতে না যেতে শুরু হয় প্রেমের সম্পর্ক। চলতে থাকে পরকীয়া প্রেম। বিষয়টি জানাজানি হলে জেবুন্নেসা- ফিরোজ মিলে যৌথ নামে ডিড করে হাটীকুমরুল রোডে “হেলথ কেয়ার হসপিটাল “নাম দিয়ে চিকিৎসা শুরু করে। ফিরোজের স্ত্রী লিমা পরকিয়া বাধা দিলে চালায় অত্যাচার নির্যাতন স্টিম রোলার। বিষয়টি নিয়ে উভয়ের পরিবারের মধ্যে একাধিক বিচার হয়। কিন্তু চোরে শোনে না ধর্মের কাহিনী চলতে থাকে পরকীয়া। লিমাকে গলায় মোরণ দিয়ে হত্যার চেষ্টা করলে ফিরোজের “মা ভাইদের সহায়তায় প্রাণে রক্ষা পায়। সম্প্রতি স্ত্রী লিমা কে তালাক দিয়ে সিরাজগঞ্জ শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজের লেকচারার ডাক্তার জেবুন্নেসা কে বিয়ে করায় এলাকায় চলছে নানা গুঞ্জন। বইছে নিন্দার ঝড়। হসপিটালে চিকিৎসা নিতে এসে এমন কাহিনী শুনে ধিক্কার দিচ্ছেন ৫০ বছর বয়সী ডাক্তার জেবুন্নেসা কে।রোগীরা ডাক্তার জেবুন্নেসাকে। রুগীরা ডাঃ জেবুন্নেসার কাছে সেবা না নিয়ে দুষ্চরিত্রা বলপ থু থু করে ফিরে যাচ্ছেন অনেকেই।
এ বিষয়ে ডাক্তার জেবুন্নেসা বলেন আমার আগের স্বামীকে ডিভোর্স দিয়ে প্রায় ৬ মাস আগে ফিরোজ কে বিয়ে করেছি।