৫ অক্টোবর “বিশ্ব শিক্ষক দিবস”।শিক্ষক দিবসে শিক্ষকদের অকৃত্রিম ভালবাসা।জাতির কারিগর শিক্ষক নামক জাতি।বাবা মা সন্তানের প্রথম অভিভাবক আর শিক্ষক হচ্ছেন দ্বিতীয় অভিভাবক। অভিভাবক যেমন সন্তানের ভালোর জন্য শাসন করতে পারে তেমনি একজন শিক্ষক ও শাসন করার অধিকার রাখে।
কিন্তু ফ্যাসিবাদী হাসিনা সরকার শিক্ষাকে নিয়ে এমন অবস্থায় নিয়ে গেছে যে আর কিছুদিন এভাবে চললে শিক্ষা যে জাতির মেরুদণ্ড তা ভুলতে বাধ্য হত।শিক্ষকদের শাসন করার কোন ক্ষমতা ছিলনা।যত শিক্ষিত সমাজ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে সবই শিক্ষকের হাত ধরেই।একজন শিক্ষকের গুনের কথা বলে শেষ করা যায় না।
শ্রীমন্তপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে শিক্ষক দিবসে শিক্ষকদের সাথে দেখা করতে গেলে শিক্ষক জনাব মোঃ রাকিব বলেন শিক্ষক আমরা আবার শিক্ষক যারা বেতন প্রাপ্ত তারাও শিক্ষক।তাহলে এই দুই শিক্ষকের মধ্যে এত বড় বিভেদ কেন?আমর যে ছাত্র ছাত্রীদের শিক্ষা দেয় তারা ও একই ছাত্রকে শিক্ষা দান করেন।তাদের বেতন আছে আমরা অনাহারে অর্ধাহারে দিন অতিবাহিত করছি।
নন এমপি শিক্ষকগণ মানবেতর জীবন যাপন করছে। আজ এমন ও প্রতিষ্ঠান আছে যাহারা ২০-২৫ ধরে বেতন পান না। এমন শোনা যায় কোন কোন এমপিও প্রাপ্ত প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকগণ ২ মাসের বেতন না পেলে তাদের না কি সংসার চালানো অনেক কঠিন হয়ে পড়ে।
অপরদিকে নন এমপিও প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকগণ কিভাবে সংসার চালনা করে আসছেন।সে বিষয়ে কোন খোঁজ নেন না।যে শিক্ষকগণ শিক্ষা প্রদান করবেন তাদের যদি শ্রেণী কক্ষে ঢুকেই সংসারের চিন্তা মাথায় আসে তাহলে আসানুরুপ শিক্ষা কল্পনা করা যায় কী? তাই আমার আকুল আবেদন বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টার কাছে সবিনয় অনুরোধ করব যে আপনি এ বিশ্ব শিক্ষক দিবস উপলক্ষে আমাদের নন এমপিও শিক্ষকদের দিকে দৃষ্টি দিয়ে বাংলাদেশে যত নন এমপিও প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক/ কর্মচারী আছেন তাদেরকে বেতন না দিলেও কিছু বরাদ্দ দিয়ে সংসার নামক চিন্তা থেকে মুক্তি দিবেন।
আমি মনে করি বর্তমান সরকারের প্রধান উপদেষ্টা শিক্ষার গুরুত্ব বুঝেন।কারন তিনি আমাদের দেশের অহংকার যেখানে বিশ্বের প্রতিটি দেশ তাকে সম্মান করেন।কিন্তু সৈরাচার হাসিনা তাকেও অসম্মান করেছেন।আমরা অনেক বার আবেদন করার পরও সৈরাচার হাসিনার কলঙ্কিত মন্ত্রী এম,পি রা ফিরিয়ে দিয়েছেন।আমাদের একটায় অপরাধ ছিল সৈরাচার শাসন আমরা পছন্দ করি না।আমাদের একটায় দুঃখ আমাদের বিদ্যালয়ের চেয়ে ও খারাপ ফলাফল করে ও তারা এম,পি,ও পেয়ে গেল।যেখানে” শিক্ষা জাতির মেরুদন্ড” শিক্ষা নিয়ে কেন রাজনীতি?
যে ছাত্র সমাজ এ দেশকে সৈরাচার মুক্ত করতে গিয়ে বুকের তাজা রক্ত বিলিয়ে দিয়েছেন তাদের বিদায়ী আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি আল্লাহর কাছে এবং দেশ কে মুক্ত করার জন্য আহত হয়েছেন তাদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করছি।যে সকল মায়ের কোল খালি করেছেন পুলিশ নামক নরপিশাচদের বিচার কামনা করি এবং ঐ মায়েদের আল্লাহ যেন ধৈর্য ধারন করার ক্ষমতা দান করেন।বর্তমান প্রধান উপদেষ্টা সহ সকল উপদেষ্টার দির্ঘায়ু কামনা করি।প্রধান উপদেষ্টা ড. মোঃ ইউনুস স্যার বিষয়টি অবশ্যই এ অবহেলিত শিক্ষকদের দিকে সদয় দৃষ্টি দিবেন।শিক্ষক দিবসে চোখে জল নিয়ে যেন আমাদের এ গর্বিত দিবসটি পালন না করতে হয়।পেটের ক্ষুধা বড় ক্ষুধা।
নন এম,পি, ও শিক্ষকদের সংসার নামক কঠিন থেকে কঠিনতর খাঁচা থেকে মুক্ত করতে বর্তমান সরকারের প্রধান উপদেষ্টার কাছে আকুল আবেদন জানাই। বর্তমান দেশের যে অবস্থা তাতে বেতন না দিলেও অন্ততপক্ষে কিছু বরাদ্দের ব্যবস্থা করে জাতির করিগর কে বাঁচান।শিক্ষক এমন এক পেশা যা কারও কাছে হাত পাতাতে লজ্জাবোধ করেন,পারে না কারও কামলা দিতে।জাতির কারিগর কে চিন্তামুক্ত করে পাঠদানের সুযোগ করবেন।
এবারের শিক্ষকদের স্লোগান হোক—
“শিক্ষা শিক্ষা শিক্ষা চায়
সঠিক শিক্ষা নিয়ে বাঁচতে চায়”