গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলা মৌচাক স্কাউটস স্কুল এন্ড কলেজের প্রধান শিক্ষকের অপসারণের দাবিতে মঙ্গলবার সকালে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহসড়ক অপরোধ করেন স্কাউট স্কুলের সকল ছাত্র-ছাত্রীরা।প্রধান শিক্ষকের নানা অনিয়নের অভিযোগে এ মহাসড়ক অবরোধ করেন স্কাউট স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীরা। প্রায় তিন মাস যাবত তারা আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে।
মৌচাক স্কাউটস স্কুল এন্ড কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র রাফি আহাম্মেদ জানান, ছাত্রছাত্রীদের অভিভাবকদের সাথে অসদাচরণ, ছাত্র -ছাত্রীদের অশ্লীল বকাঝকা, স্কুলের শিক্ষার মান উন্নয়নে চেষ্টা না করা স্কুলে টাকা আত্মসাৎসহ নানা অভিযোগে প্রধান শিক্ষকের অপসারণ দাবী করেন।গত ৫ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় যে সকল ছাত্রীছাত্রীরা অংশ গ্রহণ করেছে তাদের নামে পুলিশের কাছে তথ্য দিয়ে নানা হয়রানীর অভিযোগের কারণে প্রধান শিক্ষকের অপসারণ দাবি করেন। তবে ছাত্রছাত্রীরা উল্লেখ করেন ম্যানেজিং কমিটির কতিপয় সদস্যদের যোগসাজসে প্রধান শিক্ষক এখনও স্বপদে বহাল তবিয়তে রয়েছে। যতদিন পর্যন্ত প্রধান শিক্ষককে তার পদ থেকে অপরসারণ না করা হবে ততদিন পর্যন্ত তারা তাদের আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে মৌচাক স্কাউট স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীরা । প্রধান শিক্ষকের অপসারণের বিষয়ে ছাত্রছাত্রীরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাউছার আহাম্মেদ এর নিকট একটি লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। এসময় প্রায় আড়াই ঘন্টা যানচলাচল বন্ধ থাকে এবং এতে চরম ভোগান্তিতে পড়ে যাত্রীরা। পরে সেনাবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে ছাত্রছাত্রীদের বুঝিয়ে সড়ক থেকে সড়িয়ে দিলে দুপুর ১টার দিকে রাস্তায় যানচলাচল স্বাভাবিক হয়।তবে এ ঘটনায় অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক শহিদুল ইসলামের সাথে কথা বলার জন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে গেলে তাকে পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাউছার আহাম্মেদ জানান, আমার কাছে একটি অভিযোগপত্র জমা দিয়েছিল। ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি একটি সংস্থার মাধ্যমে চলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি পরিচালনার জন্য তাদের একটি নিজস্ব ম্যানেজিং কমিটি রয়েছে। এজন্য ওই অভিযোগপত্রটি ওই সংস্থার নিকট প্রেরণ করা হয়েছে। শিক্ষক অপসারণের বিষয়ে তারা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। যেহেতু সংস্থা দ্বারা পরিচালত তাই এ বিষয়ে সংস্থা কর্তৃক ম্যানেজিং কমিটিই ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।