1. admin@desh-bulletin.com : নিজস্ব প্রতিবেদক : দৈনিক প্রতিদিনের অপরাধ
রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০১:০০ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
বাসাইলে বিএনপি’র একাংশের গণসমাবেশ অনুষ্ঠিত মাগুরছড়া পুঞ্জিতে খাসিয়াদের ঐতিহ্যবাহী বর্ষবরণ উৎসব ‘খাসি সেং কুটস্নেম’ অনুষ্ঠিত পটুয়াখালীতে ঐতিহাসিক ৭ নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে বিশাল জনসমাবেশ অনুষ্ঠিত রাজশাহীতে চাঁদাবাজি ও দখলদারত্ব বন্ধে কঠোর হুশিয়ারি যুবদল নেতা রবি’ আশাশুনির বুধহাটা বাজার(আই বি ডব্লিউ এফ)কমিটি গঠন।।সভাপতি-হাসান,সেক্রেটারী আক্তারুজ্জামান মনোনী ঐতিহাসিক ৭ নভেম্বর উপলক্ষে পটুয়াখালীতে বিএনপির জনসমাবেশ অনুষ্ঠিত বানারীপাড়ায় বাংলাদেশ জাসদের ৫২তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত মুহুর্তেই চলন্ত বাসে আগুনের লেলিহান শিখায় জ্বলসে গেলো কয়েকজন পটিয়া কুসুমপুরায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ৩১দফা জনগণের কাছে পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে আলোচনা সভা জামালপুরে শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিশ্ববিদ্যালয়ে জাতীয় পতাকা অবমাননা

স্বাস্থ্য সেবায় বদলে গেছে মিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিত্র

মো: মামুন
  • প্রকাশের সময় : বুধবার, ২০ ডিসেম্বর, ২০২৩
  • ১৫৩ বার পড়া হয়েছে

কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার মানুষের দোরগোড়ায় স্বাস্থ্য সেবা পৌঁছে দেওয়ার অঙ্গীকারে বদলে গেছে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. পিযূষ কুমার সাহার দক্ষ ব্যবস্থাপনায় অতীতের যেকোন সময়ের চেয়েও রোগীরা এখন আন্তরিকতাপূর্ণ সেবা পাচ্ছেন।

প্রয়োজনীয় জনবল সংকট থাকা স্বত্বেও এখানের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সাথে সমন্বয় করে তিনি অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে নানা সংকট মোকাবেলার মাধ্যমে মিরপুরে স্বাস্থ্য সেবা প্রদানে প্রশংসনীয় ভূমিকা পালন করে চলেছেন। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগ, আন্তঃবিভাগ এবং বহির্বিভাগের স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিতকরণ, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ও সৌন্দর্যবর্ধন কার্যক্রম এবং সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে সার্বিক কার্যক্রম তদারকির মাধ্যমে মিরপুরে স্বাস্থ্যখাতের ইতিহাসে এক অভূতপূর্ব অর্জন এবং এক অনন্য সুন্দর সফলতা বলে আখ্যা দিচ্ছে স্থানীয়রা।

তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া ২০০৬ সালে ৩১ শয্যা হাসপাতাল থেকে ৫০ শয্যা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে উন্নিত করেন। কিন্তু ২০২০ সালের আগে মিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ছিল যেরকম বেহাল দশা, অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে, বর্হিবিভাগে ঔষুধ কম দেওয়া, হাসপাতালের প্রতি রোগীদের আস্থার অভাবের কারণে মানুষ এই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা সেবা নিতে আসতে চাইতো না। কিন্তু পূর্বের তুলনায় চিকিৎসা সেবা ভালো হওয়ায় এখানে রোগীর চাপ বৃদ্ধি পেয়েছে প্রায় তিনগুণ।

সোমবার (১৮ ডিসেম্বর) সকালে সরজমিনে এই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পরিদর্শনে গেলে দেখতে পাওয়া যায় ৫০ শয্যর এই হাসপাতালে রোগী ভর্তি আছে প্রায় ৭০ এর অধিক। এত রোগীর চাপ সামাল দিতে কতৃপক্ষকে তাই নিতে হচ্ছে বাড়তি দায়িত্ব। ২৫ জন নার্স ও ৩ জন কনসালটেন্ট এবং ১০ জন মেডিকেল অফিসার দিয়ে চলছে চিকিৎসা সেবা। চিকিৎসা সেবা ভালো হওয়ার কারণে রোগী বেড়ে যাওয়ায় এখানে লোকবল বাড়ানোর প্রয়োজন বলে ভূক্তভোগী রোগীরা মনে করছেন।

সরজমিনে গিয়ে জানা যায় হাসপাতালে চিকিৎসা সেবার ভিতরে রয়েছে গর্ভবতী মায়েদের জন্য নরমাল ডেলিভারী এবং সিজারিয়ান সেকশন। এনসিডি কর্ণার যার মাধ্যমে রোগী ১ মাস পর্যন্ত বিনামূল্যে ঔষুধ পাবে চিকিৎসার পাশাপাশি।

এছাড়াও ডায়বেটিকস পরীক্ষা, চক্ষু সেবা, টেলিমেডিসিন, ফিজিওথেরাপি সেবা, যক্ষা ও কুষ্ঠ রোগীদের জন্য চিকিৎসার পাশাপাশি বিনামূল্যে ঔষুধ প্রদান। রয়েছে ব্লাড টেষ্ট, এক্সরে, ইসিজি, আলটাসনোগ্রাফি বিনামূল্যে করার ব্যাবস্থা। বিনামূল্যে টিকা কার্যক্রম (ইপিআই) ব্যাবস্থা। মহিলাদের জন্য রয়েছে জরায়ুর মুখে ক্যান্সার ও স্তন ক্যান্সার শনাক্তকরণে আলাদা চিকিৎসা ব্যাবস্থা। এছাড়াও বর্তমান সময়ে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীদের জন্য রয়েছে আলাদা কেবিন সহ ২৪ ঘন্টা এম্বুলেন্স সার্ভিস।

হাসপাতালটিতে গত ১০ ডিসেম্বর সরজমিনে বর্হিবিভাগে গেলে সেখানে দেখা যায় ডাক্তারদের কাছে চিকিৎসা সেবা নিতে সাধারণ রোগীদের বাড়তি সিরিয়াল। রোগীদের লম্বা লাইন। জানা যায়, এই বর্হিবিভাগে প্রতিদিন গড়ে ৫০০ জন মানুষ চিকিৎসা সেবা নিয়ে থাকেন। রোগের ধরন অনুযায়ী এখানে ভিন্ন ভিন্ন চিকিৎসক দিয়ে চলে চিকিৎসা সেবা ও অভিঙ্গ চিকিৎকসদের কাছে থেকে প্রেসক্রিপশন এবং হাসপাতাল থেকে বিনামূল্যে কয়েক ধরণের ঔষুধ দেওয়া হচ্ছে এই বর্হিবিভাগে।

সিরিয়ালে দাড়ানো একজন সেবা গ্রহিতার সাথে কথা বললে তিনি বলেন, এখানকার সরকারি ঔষুধের মান ভালো বলে জানান। তিনি বলেন, “আমি একজন অটো চালক। হাত ও ঘাড়ে ব্যাথা। বাইরে ঔষুধের অনেক দাম কিনতে পারিনা। এখানকার ঔষুধ ভালো। হাসপাতালে রোগী নিয়ে এসেছি ফিরতে একটু দেরি হবে সেজন্য ভাবলাম বসে না থেকে এইখানে ডাক্তারকে আমি একটু সমস্যার কথা বলি তাহলে একটু উপকারও হবে। আবার এইখান থেকে বিনামূল্যে ঔষুধও পাবো। তাই এখানে আসছি”। সিরিয়ালে দাড়াঁনো আরও কয়েকজন সেবা গ্রহিতাদের সাথে কথা বললে তারাও জানান এই হাসপাতাল থেকে বিনামূল্যে ভালো ডাক্তার দিয়ে চিকিৎসার পাশাপাশি সরকারি ঔষুধ দেওয়া হয় তাই এই হাসপতালের জনপ্রিয়তা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।

এই বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা পিযুষ কুমার সাহার সাথে কথা বললে তিনি জানান, “ মিরপুর উপজেলাবাসীর সার্বিক সহযোগিতায় এই হাসপাতালটিকে সেবা প্রদানে আস্থার জায়গা হিসেবে দাঁড় করাতে আমরা বদ্ধপরিকর। এছাড়াও আমরা কমিউনিটি ক্লিনিক গুলোর সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ করে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর লক্ষ্য বাস্তবায়নে গ্রামেও স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার লক্ষ্য নিয়ে কাজ করে যাচ্ছি।

এ বিভাগের আরো সংবাদ
© দেশ বুলেটিন 2023 All rights reserved
Theme Customized BY ITPolly.Com