যশোরের কেশবপুরে ঘেরে মাছ ধরা নিয়ে সংঘর্ষের ঘটনায় থানায় উপজেলা মৎস্যজীবী লীগের সভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যানসহ সতের জনের বিরুদ্ধ মঙ্গলবার উপজেলার সুফলাকাটি ইউনিয়নের সারুটিয়া গ্রামের মাছের ঘের ব্যবসায়ী সিদ্দিকুর রহমান বিশ্বাস বাদি হয়ে সতের জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা বিশ জনের বিরুদ্ধে থানায় এ মামলাটি করেছেন।মামলার আসামিরা হলেন, সুফলকাটি ইউনিয়নের আলমগীর সরদার, দীনু বিশ্বাস, মিকাইল মোল্যা, মামুন, মিজানুর রহমান, সুফলাকাটি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা মৎস্যজীবী লীগের সভাপতি এস এম মুনজুর রহমান, ওই ইউনিয়নের ফয়সাল মোড়ল, শফিকুল গাজী, সবুজ মোড়ল, আবুল কাশেম, ইব্রাহিম হোসেন, আম্মার সরদার, বক্কার সরদার, বজলু সরদার, দাউদ সরদার, সাইফুল সরদার ও সমর কুন্ডুসহ অজ্ঞাতনামা বিশ জন।মামলা সূত্রে জানা গেছে, জেরে গত ১৪ নভেম্বর মামলায় উল্লেখিত ব্যক্তিসহ অজ্ঞাতনামা বিশ জন মাছের ঘেরে ঢুকে জেলেদেরকে হুমকি দিয়ে মাছ ধরার কাজ বন্ধ করে দেয়। এ সময় তার ছেলে মামুন বিশ্বাস, চাচাতো ভাই ইকবল সরদার, বিল্লাল সরদার, আব্দুল্লাহ মাছ ধরতে বাধা দেওয়ার বিষয়ে জিজ্ঞাসা করলে মুনজুর রহমানের নির্দেশে তাদেরকে মারপিট করে রক্তাক্ত জখম করে। পরবর্তীতে এলাকার লোকজন তাদেরকে উদ্ধার করে কেশবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে বর্তমানে আহতরা চিকিৎসাধীন রয়েছেন।ইতি পূর্বে চলতি বছরের জুন মাসে ফ্যাসিস্ট চেয়ারম্যান ও উপজেলা মৎস্যজীবী লীগের সভাপতি এস এম মুনজুর রহমান এর চোর সন্ত্রাসীর লোকেরা বিএনপি নেতা বিল্লালে বাড়ি লুট করে নেয় কেশবপুরে মাছের ঘের নিয়ে সংঘর্ষের ঘটনায় উপজেলা মৎস্যজীবী লীগের সভাপতিসহ ১৭ জনের নামে মামল হয়েছে।