নাটোরের বাগাতিপাড়ায় বাবা-মায়ের কাছ থেকে নেশা করার টাকা না পেয়ে নিজেদের বেকারী কারখানা আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছে নেশাগ্রস্থ দুই ছেলে। মঙ্গলবার (১৯ ডিসেম্বর) দুপুর ২টার দিকে উপজেলার দয়ারামপুর ইউনিয়নের মিশ্রিপাড়া এলাকার শাহ আলম বেকারী কারখানায় এই ঘটনা ঘটে। এই অগ্নিসংযোগের ঘটনায় কারখানায় থাকা সব জিনিসপত্রসহ কারখানায় বসত ঘরও ভস্মীভূত হয়। ঘটনাটি এলাকায় বেশ চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে।
স্থানীয় ও থানা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, শাহ আলম বেকারীর স্বত্বাধীকারি নজরুল ইসলাম ও তার স্ত্রীর সাথে তাদের দুই ছেলে শাহ আলম ও সাহাবুরের কোন্দল চলছিল। প্রায় দিনই দুই ছেলে নেশার টাকার জন্য তাদের হত্যা করার চেস্টসহ অত্যাচার করতো। গত ১৭ ডিসেম্বরেও বাবা মাকে মারপিট করে ঘরে কেরোসিন ঢেলে হত্যা করার চেস্টা করলে পিতা নজরুল এবং তার স্ত্রীকে ঘরের জানালা কেটে উদ্ধার করে দয়ারামপুর ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। এরপর থেকে বেকারী মালিক নজরুল ইসলাম ও তার স্ত্রী সন্তানদের ভয়ে আত্বগোপনে চলে যান।
শাহ আলম বেকারী কারখানার ম্যানেজার মিন্টু বলেন, ঘটনার দিন দুপুরে দুই ছেলে শাহ আলম ও সাহাবুর বেকারী কারখানায় গিয়ে তাদের সবাইকে বকাবকি করে কারখানা থেকে বের হয়ে যেতে বলেন। তখন তারা ভয়ে কারখানা থেকে দূরে সরে যান। কিছুক্ষণ পরেই তারা কারখানায় আগুন লাগার সংবাদ শুনে ঘটনাস্থলে ছুটে যান।
দয়ারামপুর ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন মাস্টার মঞ্জুরুল ইসলাম জানান, মঙ্গলবার দুপুর ২ টার দিকে আগুন লাগার খবর পেয়ে তারা ঘটনাস্থলে গিয়ে দীর্ঘক্ষণ চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হন এবং পুলিশে খবর দেন। তিনি আরও জানান, ঘটনাস্থলে বেকারী মালিকের দুই ছেলে উপস্থিত থাকলেও কোন সহযোগিতা না করে নিরব দর্শকের ভূমিকা পালন করে।
বাগাতিপাড়া মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নান্নু খান মোবাইল ফোনে চ্যনেল এ নিউজকে জানান, ওই বেকারী মালিক নজরুল ইসলাম ও তার স্ত্রীর সাথে নেশার টাকা না পেয়ে নেশাগ্রস্ত দুই ছেলের দীর্ঘদিন থেকেই কোন্দল চলে আসছিল। তারা দুই ভাই ওই করাখানায় আগুন লাগিয়েছে। এ ঘটনায় তাদের দুই ভাইকে থানায় আনা হয়। পরে দুই ছেলে শাহ আলম ও সাহাবুরকে অভিযুক্ত করে তাদের বিরুদ্ধে থানায় একটি এজাহার দাখিল করেন শাহ আলম বেকারীর মালিক নজরুল ইসলাম। এই এজাহার আমলে নিয়ে তাদের বিরুদ্ধে মামলা করে বুধবার (২০ ডিসেম্বর) বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হবে বলেও জানান তিনি।