রাজশাহীর দুর্গাপুরের এক ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে বিয়ের প্রলোভনে স্বামী পরিত্যক্তা এক নারীকে দীর্ঘদিন থেকে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এঘটনায় ভুক্তভোগী নারী ফিরোজা বেগম বাদী হয়ে দুর্গাপুর থানায় ধর্ষণ মামলা দায়ের করেছেন। ধর্ষিত নারীকে মেডিকেল পরীক্ষার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টার (ওসিসি)তে পাঠিয়েছে থানা পুলিশ। দায়েরকৃত মামলা সূত্রে জানা যায়, দুর্গাপুর উপজেলার ধরমপুর মধ্যপাড়া গ্রামের ইসমাইল হোসেনের পুত্র রাজশাহী কলেজ অনার্স তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী কলেজ ছাত্রলীগ নেতা রাকিবুল ইসলাম রকি (২২) এর সাথে গত ৬ মাস পূর্বে থেকে দুর্গাপুর পৌর এলাকার সিংগা পূর্বপাড়া গ্রামের স্বামী পরিত্যাক্ত নারী ফিরোজা বেগমের সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। বিয়ের প্রলোভনে স্বামী পরিত্যক্তা নারী ফিরোজা বেগমের সাথে দীর্ঘ ছয় মাস থেকে দৈহিক চাহিদা মেটাতে অবৈধ সম্পর্ক চালাতে থাকে। একই ভাবে গত ১৮ নভেম্বর সোমবার ভূক্তভোগী নারী ফিরোজা বেগমকে বিয়ে করতে চেয়ে ধরমপুর গ্রামে বন্ধু জীবনের বাসায় নিয়ে যাই রাজশাহী কলেজ ছাত্রলীগ নেতা রাকিবুল ইসলাম রকি। সেখানে দৈহিক চাহিদা মিটিয়ে ওই নারীকে আমি সপ্তাহে বিয়ে করবো জানিয়ে তার বাসায় চলে যেতে বলে। কিন্তু ভুক্তভোগী স্বামী পরিত্যক্তা নারী ফিরোজা বেগম আজকেই তাকে বিয়ে করতে হবে বলে রকিকে জানায়। ছাত্রলীগ নেতা রকি কোন উপায়ান্তর না দেখে বন্ধু জীবনের বাড়িতে ওই নারীকে রেখে পালিয়ে যায়। রকি পালিয়ে গেছে জানতে পেরে ওই নারী বিয়ের দাবিতে জীবনের বাসায় অনশন করে বসে। এক পর্যায়ে রকির বন্ধু জীবন বিষয়টি সমাধান করে দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে ওই নারীকে তার বাসায় পাঠিয়ে দেয়। পরদিন পর্যন্ত এবিষয়ে কোন সমাধান না হওয়ায় গত ১৯ নভেম্বর মঙ্গলবার রাতে ছাত্রলীগ নেতা ও রকির বিরুদ্ধে দুর্গাপুর থানায় বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা দায়ের করেন ভুক্তভোগী নারী ফিরোজা বেগম। এ বিষয়ে দুর্গাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) দূরুল হোদা বলেন, দুর্গাপুর পৌরসভার সদর সিংগা গ্রামের স্বামী পরিত্যাক্তা নারী ফিরোজা বেগম বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা দায়ের করেছেন। ধর্ষিত নারীকে মেডিকেল পরীক্ষার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টার (ওসিসি)তে পাঠানো হয়েছে।