লাখাই উপজেলার বামৈ গ্রামের এক কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থিত উপজেলার একমাত্র অমৃত মন্দির দয়ানন্দ আশ্রম টি। যার নির্দিষ্ট কোন রাস্তা এখনো হয়নি। গত শতকের শুরুর দিকে ১৯০৭-১৯০৮ সালে জীবকে নিরবছিন্ন, আনন্দদানে, পৃথিবীতে শান্তি স্থাপনে, সমগ্র জগতে এক মহা-ভাতৃরাজ্যের প্রতিষ্ঠা, আসামে শ্রী ঠাকুর দয়ানন্দ দেব অরুনাচল আশ্রমের প্রতিষ্ঠা করে ছিলেন। তার জন্মস্থান এ উপজেলার বামৈ গ্রামে। ১৯১৮ সনে তিনি বামৈ ইউনিয়নের কাটিহারা গ্রামে অমৃত মন্দির আশ্রম প্রতিষ্ঠা করেন। আশ্রমটি প্রতিষ্ঠার পর শতাব্দী ফের হলেও আশ্রমের জন্য এখন পর্যন্ত কোন নির্দিষ্ট রাস্তা তৈরি হয়নি। বামৈ কাটিহারা হইতে কাশিমপুর এক থেকে দেড় কিলোমিটার পাকা রাস্তা। ওই পাকা রাস্তা হইতে প্রায় ৩০০ মিটার কাঁচা রাস্তা দিয়ে যেতে হয় অমৃত আশ্রমে। উপজেলা সহ দেশ-বিদেশের হিন্দুধর্মালম্বীদের পুজা অর্চনা করার জন্য সবসময় যাতায়াত করতে হয়।সেখানে আসা-যাওয়ার নির্দিষ্ট কোন রাস্তা না তাকায়, বিপাকে পড়তে হয় দূর-দূরান্ত থেকে আসা দশরথীদের। যদি ও রয়েছে জমির আইলের চেয়ে একটু ভালো ৩০০ মিটার কাঁচা রাস্তা। সারাবছর পানিতে নরম কাদামাটির কারণে চলাচলের অযোগ্য তাকে এতে ভক্ত দর্শনার্থীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়।আশ্রমে দায়িত্বরত অধ্যক্ষ শ্রী শ্রী শংকর চৈতন্য ব্রহ্মচারী বলেন, রাস্তাটি হলে দর্শনার্থী সহ সকলের আসা-যাওয়া সহজ হবে। রাস্তাটি পাকা হলে আমাদের বৃষ্টির দিনে যাতায়াত করতে আর সমস্যা হবে না।এ ব্যাপারে বামৈ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আমজাদ হোসেন ফুরুক বলেন, রাস্তাটি বিগত বছর হওয়ার কথা ছিল কিন্তু হয়নি এ বছরের রাস্তাটি পাকা হয়ে যাবে বলে তিনি জানান।