অর্ধেক পচা অর্ধেক ভালো এমন আলু কেটে ৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছেন বিক্রেতারা। আলুর দাম বৃদ্ধি হওয়ায় বাধ্য হয়েই মধ্যবিত্ত ও নিম্ন আয়ের মানুষেরা সেগুলো কিনে নিচ্ছেন। রবিবার টঙ্গীবাড়ী উপজেলার হাসাইল বাজারের ব্যবসায়ী জালাল খালাসি কে আধাপচা আলু গুলো এমনি ভাবে কেটে কেটে বিক্রি করতে দেখা গেছে।মুন্সীগঞ্জে প্রায় বাজারে এমন দৃশ্য দেখা যাচ্ছে। শুধু জালাল খালাসি ই নয় এই বাজারের অধিকাংশ সবজি ব্যবসায়ীরা এভাবে আধাপচা আলু গুলো কেটে কেটে ৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছেন । অথচ বিগত দিনে এই আলুগুলো হয়তো ফেলে দিতো নাহয় গো-খাদ্য হিসেবে ব্যবহৃত হতো। আলুর দাম লাগামহীন হওয়ায় এখন এই আলুগুলোও বিক্রি হয়ে যাচ্ছে। মজিবর নামের এক ক্রেতা জানান, একটা সময় এই আধাপচা আলু ফেলে দিতাম অথচ সেই আলু ই এখন ৪০ টাকা কেজিতে কিনে খাচ্ছি। জয়নাল নামের হাসাইল চরাঞ্চলের আরেক ক্রেতা জানান, কত ভালো ভালো আলু জমিতেই পরে থাকতো নেওয়ার মানুষ পেতাম না, অথচ আজ ৪০ টাকা কেজিতে পচা আলু খাইতাছি। আগে যেই আলু গরুরে খাওয়াইতাম এখন সেই আলু আমরা খাই। গরুরে আলু খাওয়াইতে পারিনা। আলু বিক্রেতা জালাল খালাসি বলেন, কাস্টমারদের কথা কি বলবো আমি নিজেই তো এই আলু ফেলে দিয়েছিলাম। অথচ এই আলু আমি ৩৫ টাকা কেজি দরে কিনে এনে ৪০ টাকা কেজিতে বিক্রি করতাছি। কখনো কল্পনা করতে পারিনাই আলুর দাম এভাবে বাড়বে।জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক বিপ্লব কুমার মোহন্ত জানান, ‘এ বছর প্রায় ৫০ হাজার টন কম আলু মজুত হয়েছে, তবে ১ লাখ ৫১ হাজার মেট্রিক টন আলু এখনো মজুত রয়েছে।