রাজশাহী-১ (তানোর-গোদাগাড়ী) ভিআইপি এই সংসদীয় আসন অনেকের টার্গেট। ইতোমধ্যে আগামি জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে বিএনপির দলীয় মনোনয়ন পেতে এরই মধ্যে কেউ কেউ দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছেন। তবে এখানে মেজর জেনারেল (অবঃ) শরিফ উদ্দিনকে সহযোগিতা করার জন্যবিএনপির নীতিনির্ধারণী মহল থেকে নেতাকর্মীদের বার্তা দেয়া হয়েছে নেতাকর্মীদের মুখে মুখে এমন আলোচনা রয়েছে। এদিকে এমন আলোচনার খবর ছড়িয়ে পড়লে বিএনপির রাজনীতিতে নয়া সমীকরণের সুত্রপাত হয়েছে। ফলে বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার(সাবেক)সামরিক সচিব ও রাজনৈতিক উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য মেজর জেনারেল (অবঃ) শরিফ উদ্দিনকে নিয়ে বিএনপি ঐক্যবদ্ধ হয়ে মাঠ গোছানো শুরু করেছে। এতে তৃণমুলে পচ্ছন্দের শীর্ষে উঠে এসেছে মেজর জেনারেল (অবঃ) শরিফ উদ্দিন।স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে,ইতিমধ্যে মনোনয়ন প্রত্যাশী কেউ কেউ খেলাধুলা, তাফসির মাহফিল এবং সামাজিক কর্মসুচির মাধ্যমে তৃণমূল নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের মনোযোগ আর্কষণের চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়ে দলের নীতিনির্ধারণী মহলের সঙ্গে যোগাযোগ বৃদ্ধির জন্য নানা কৌশল খুঁজে বের করার চেষ্টায় মরিয়া হয়ে উঠেছে। আবার কেউ টাকা ছড়িয়ে নেতা ও কর্মী-সমর্থকদের কাছে টানতে প্রাণপন চেষ্টা করছে। কিন্তু বিএনপির আদর্শিক এবং মুল ধারার নেতা ও কর্মী-সমর্থকদের কাছে থেকে তেমন কোনো সাড়া না পেয়ে তারা রণে ভঙ্গ দিয়ে মাঠ ছাড়তে বাধ্য হয়েছে বলে একাধিক সুত্র নিশ্চিত করেছে।
জানা গেছে, রাজশাহী অঞ্চলে বিএনপির আদর্শিক রাজনীতি ও নেতৃত্বে বিএনপির ভাইস-চেয়ারম্যান সাবেক ডাকমন্ত্রী প্রয়াত ব্যরিষ্টার আমিনুল হক পরিবারের কোনো বিকল্প নাই। আগামি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এখানে বিএনপির দলীয় মনোনয়ন পাচ্ছেন মেজর জেনারেল অবঃ শরিফ উদ্দিন এটা প্রায় নিশ্চিত।স্থানীয় রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক মহলের অভিমত, মেজর জেনারেল অবঃ শরিফ উদ্দিনের মতো নেতৃত্বরা মনোনয়ন নেয় না, তাদের সুপারিশে দু’ চারজনের মনোনয়ন হয়। ফলে রাজনীতিতে নেতৃত্বের প্রতিযোগীতায় শরিফ উদ্দিনের মতো নেতৃত্বকে হারানো যায় না, তারা যেকোনো রাজনৈতিক দলের কাছেই বড় সম্পদ। ফলে শরিফ উদ্দিনের মতো নেতৃত্বের সঙ্গে প্রতিযোগীতার নামে বিরোধ নয় তাদের সঙ্গে সমঝোতা করে চলতে এবং শিখতে হয়। ঠান্ডা-শীতল ঘরের রাজনৈতিক কলাকৌশল। আর যাদের এসব বোঝার ক্ষমতা নাই তারাই রাজনীতি থেকে ছিটকে পড়ে অতল গহবরে হারিয়ে যায়।তৃণমুলের ভাষ্য, বাংলাদেশে এখন মাঠে-ঘাটে বগী আওয়াজ দিয়ে বা ভাড়া করা লোক দিয়ে সমাবেশ করে রাজনীতি হয় না।এখন ঠান্ডা ঘরে বসে গরম কফির কাপে চুমুক দিয়ে টেলিভিশনের পর্দায় ফর্মুলা ওয়ান দেখতে দেখতে রাজনীতি হয়। এবিষয়ে তানোর উপজেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক হযরত আলী মাষ্টার বলেন, দেশের সর্ব বৃহৎ গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল বিএনপি। তিনি বলেন,দলের মনোনয়ন যে কেউ চাইতেই পারে এটা স্বাভাবিক ঘটনা। তবে এখানে মেজর জেনারেল অবঃ শরিফ উদ্দিনের মনোনয়ন নিশ্চিত। তিনি আরো বলেন, আমরা তার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ বিএনপি মাঠ গোছানোর কাজ শুরু করেছি। এ বিষয়ে তানোর পৌরসভার সাবেক মেয়র ও জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মিজানুর রহমান মিজান বলেন (রাজশাহী -১) তানোর -গোদাগাড়ী আসন বিএনপির ঘাঁটি। আমরা ঐক্যবদ্ধ আছি। এ আসনে মেজর জেনারেল অবসরপ্রাপ্ত শরিফ উদ্দিনের কোন বিকল্প নাই। প্রায় নিশ্চিত তিনি এই আসনের মনোনয়ন পাবেন। আমরা তার পক্ষেই আছি। তিনি বিপুল ভোটে জয়লাভ করবেন।