টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে সৎ মায়ের নির্মম অমানুষিক নির্যাতনের শিকার হয়েছে ৫ বছরের এক শিশু। হত্যার উদ্দেশ্য যৌনাঙ্গে আঘাত করে গুরুতর জখম করার অভিযোগে সুমাইয়া আক্তার নামের ওই সৎ মাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।সুমাইয়া উপজেলার আগ চারান গ্রামের আব্দুল করিমের মেয়ে।গত ৭ নভেম্বর রাত ৭ টার দিকে কালিহাতীর জোয়াইর গ্রামের আবু হানিফের ছোট ছেলে শিশুটির বাবা রফিকুল ইসলামের থাকার ঘরে ঘটনাটি ঘটে। সরেজমিনে ঘুরে ও মামলা সুত্রে জানাযায়, সন্ধ্যা ৭ ঘটিকার সময় ৫ বছরের শিশু জান্নাত ও তার সৎ মা সুমাইয়াকে ঘরে রেখে দাদা আবু হানিফ এশার নামাজ পড়তে যায়। এই সুযোগে সৎ মা সুমাইয়া ঘরের দরজা জানালা বন্ধ করে শিশু জান্নাতকে জোর করে উলঙ্গ করে এবং হত্যার উদ্দেশ্যে যৌনাঙ্গে আগুল ঢুকিয়ে গুরুতর রক্তাক্ত জখম করতে থাকে। শিশুটি চিৎকার করলেও জোর করে মুখ ছাপিয়ে ধরে নির্যাতন চালাতে থাকে। শিশুটির দাদা আবু হানিফ জানান, ঘটনার দিন এশার নামাজ শেষে আমি বাড়ী ফিরে এসে দেখি ঘরের দরজা জানালা বন্ধ । আমি আমার ছোট ছেলের দ্বিতীয় স্ত্রী সুমাইয়াকে অনেক ডাকাডাকির পর দরজা খুললে দেখতে পাই, নাতনি রক্তাক্ত অবস্থায় ঘরের মেঝেতে পড়ে আছে। আমি ডাকাডাকি করলে আশে পাশের মানুষ এগিয়ে আসে। পরে তারা কালিহাতী, টাঙ্গাইল, মির্জাপুর হাসপাতাল গুলোতে নিয়ে গেলে কর্তৃপক্ষ ভর্তি না করে ঢাকা মেডিকেলে পাঠিয়ে দেয়। এই ঘটনায় জান্নাতের দাদা আবু হানিফ বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে কালিহাতী থানায় মামলা দায়ের করেন। কালিহাতী থানার এস আই ইমাম হোসেন জানান, ৭ নভেম্বর ঘটনাটি ঘটে। শিশুটির অবস্থা খুব গুরতর থাকায়, ৮ নভেম্বর দাদা আবু হানিফ বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনসহ হত্যার উদ্যেশ্যে আঘাত সংক্রান্তে মামলা দায়ের করেন।৯ নভেম্বর ঘটনাস্থলে যাই এবং প্রাথমিক তদন্ত করে ঘটনার সত্যতা প্রতিয়মান হলে আসামী সৎ মা সুমাইয়া কে গ্রেফতার করে আদালতে প্রেরণ করি। ঘটনাটি খু্বই মর্মান্তিক এবং দুঃখজনক।