১। বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের কক্সবাজার রিজিয়নের, রামু সেক্টরের অধীনস্থ, টেকনাফ ব্যাটালিয়ন (২ বিজিবি) সদা জাগ্রত অতন্দ্র প্রহরী থেকে সীমান্ত নিরাপত্তায় বাংলাদেশের সর্ব দক্ষিণের বাংলাদেশ-মায়ানমার সীমান্তে দায়িত্ব পালন করছে। টেকনাফ ব্যাটালিয়ন সীমান্ত সুরক্ষা ছাড়াও চোরাচালান, মাদকদ্রব্য, অবৈধ অনুপ্রবেশ এবং আন্তঃ রাষ্ট্রীয় সীমান্ত অপরাধ দমনে যথাযথ ও কার্যকরীভাবে পেশাদারিত্বের সাথে দায়িত্ব পালন করে বেসামরিক পরিমন্ডলে ভূয়সী প্রশংসা অর্জন করেছে। এরই ধারাবাহিকতায় ২৬ নভেম্বর ২০২৪ তারিখ রাতে টেকনাফ ব্যাটালিয়ন (২ বিজিবি) কর্তৃক পরিচালিত অভিযানে *২,৪৮,০০০ (দুই লক্ষ আটচল্লিশ হাজার) পিস ইয়াবা ট্যাবলেট* উদ্ধার করা হয়।ক। গোপন তথ্যের ভিত্তিতে জানা যায় যে, ২৬ নভেম্বর ২০২৪ তারিখ রাতে টেকনাফ ব্যাটালিয়ন (২ বিজিবি) এর অধীনস্থ নাজিরপাড়া বিওপি’র দায়িত্বপূর্ণ বিআরএম-৬ হতে আনুমানিক ২ কিঃ মিঃ দক্ষিণ-পূর্ব দিকে দেড় নাম্বার নামক এলাকা দিয়ে মাদকের একটি চালান মায়ানমার হতে বাংলাদেশে আসতে পারে। উক্ত তথ্যের ভিত্তিতে নাজিরপাড়া বিওপি’র দুইটি চোরাচালান প্রতিরোধ টহলদল কঠোর সর্তকতা অবলম্বন করে সীমান্ত পর্যবেক্ষণ জারি রাখলে একপর্যায়ে আনুমানিক ০১৩০ ঘটিকায় ০৬ জন ব্যক্তিকে নাফ নদীতে সাঁতারিয়ে বাংলাদেশ-মায়ানমার সীমান্তের শূন্য লাইন অতিক্রম করে আনুমানিক ৫০০ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে কেওড়া বাগানের দিকে আসতে দেখে। পরবর্তীতে টহলদল উক্ত ব্যক্তিদের ধাওয়া করলে বিজিবি টহলদলের উপস্থিতি অনুধাবন করা মাত্রই চোরাকারবারীরা রাতের অন্ধকারের সুযোগে কয়েকটি ব্যাগ ফেলে দিয়ে নাফ নদীর তীরে ঘন কেওড়া বাগানের ভিতরে পালিয়ে যায়। টহল বর্ণিত এলাকায় তল্লাশী অভিযান পরিচালনা করে তিনটি ব্যাগের ভিতর হতে ২,৪৮,০০০ (দুই লক্ষ আটচল্লিশ হাজার) পিস ইয়াবা ট্যাবলেট (মালিকবিহীন অবস্থায়) উদ্ধার করা হয়। টহলদল কর্তৃক উক্ত এলাকায় ০৪৩০ ঘটিকা পর্যন্ত অভিযান পরিচালনা করা হলেও কোন চোরাকারবারী কিংবা তাদের সহযোগীকে আটক করা সম্ভব হয়নি। তবে, চোরাকারবারীদের সনাক্ত করার জন্য অত্র ব্যাটালিয়নের গোয়েন্দা কার্যক্রম চলমান রয়েছে।