ভোলার মনপুরা উপজেলায় ইসলামী আন্দোলনের পূর্ব নির্ধারিত গণসমাবেশে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটেছে। এই সমাবেশে স্থানীয় চিহ্নিত অপরাধীদের নেতৃত্বে হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ উঠেছে। ফকির হাট এলাকায় অনুষ্ঠিত এই সমাবেশে চাঁদাবাজি ও দখলবাজির বিরুদ্ধে বক্তব্য রাখার পরই এ হামলার সূত্রপাত ঘটে।ইসলামী আন্দোলনের পক্ষ থেকে প্রকাশিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, বিএনপির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কয়েকজন নেতা-কর্মীর প্রত্যক্ষ মদদে এই হামলা পরিচালিত হয়েছে। তাদের মধ্যে কথিত মফিজ ডাক্তার, শাবুদ্দিন, পিটার, ইউসুফ সিকদার, যুবদল নেতা শাহাজাহান মাস্টার, সোহেল ডিলার, জিহাদ সিকদার ও রাজিবসহ আরও কিছু ব্যক্তি জড়িত বলে অভিযোগ করা হয়েছে।সমাবেশের প্রধান বক্তা এবং ভোলা থেকে আগত ইসলামী আন্দোলনের শীর্ষ নেতাদের লক্ষ্য করে এই হামলা চালানো হয়। এ ঘটনার পেছনে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা কাজ করেছে বলে অভিযোগ করেন সংশ্লিষ্টরা। বক্তারা দাবি করেন, সমাবেশ বন্ধ করার উদ্দেশ্যে পরিকল্পিতভাবে এই সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালানো হয়েছে।প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার এবং দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি জানানো হয়েছে। এই বিষয়ে অভিযোগপত্র ভোলার স্থানীয় সংবাদমাধ্যম, জেলা প্রশাসন কার্যালয়, মনপুরা উপজেলা নির্বাহী অফিসার এবং সংশ্লিষ্ট অন্যান্য কর্তৃপক্ষের কাছে প্রেরণ করা হয়েছে।এক ইসলামী আন্দোলন কর্মী নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, ঘটনার ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়ায় তাদের বিভিন্ন হুমকি দেওয়া হচ্ছে। তিনি দাবি করেন, সত্য ঘটনা প্রকাশে বাধা দেওয়া হচ্ছে।বর্তমানে এই ঘটনার তদন্ত চলছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।