ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের রপ্তানী নিষেদ্ধাজ্ঞার পরেও চাঁপাইনবাবগঞ্জের সোনামসজিদ স্থলবন্দর দিয়ে শুরু হয়েছে পেঁয়াজ আমদানি। বুধবার (২৭ নভেম্বর) এই আমদানী শুরু হয়। এদিন সকাল থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত ১৫টি ভারতীয় ট্রাকে ৩ শত মেট্রিক টন পেঁয়াজ এসেছে বাংলাদেশে। সোনামসজিদ পোর্ট লিংক লিমিটেডের জনসংযোগ কর্মকর্তা টিপু সুলতান এবং সোনামসজিদ উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্রের উপ-পরিচালক সমীর চন্দ্র ঘোষ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তবে স্থলবন্দর দিয়ে আজ ১০০ ট্রাকের বেশি আলু আমদানি হওয়ার কথা রয়েছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।এ বিষয়ে আরিশা ট্রেডার্সের স্বত্ত¡াধিকারী আলমগীর জুয়েল বলেন, গতকাল মঙ্গলবার সকাল থেকে সোনামসজিদ স্থলবন্দর দিয়ে পেঁয়াজ ও আলুভর্তি কোনো ট্রাক বন্দরে প্রবেশ না করলেও আজ বুধবার সকাল থেকে সোনামসজিদ স্থলবন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি শুরু হয়েছে। তবে আলুর কোন গাড়ি এখন পর্যন্ত এই বন্দরে প্রবেশ করেনি। আলু আমদানির বিষয়ে ভারতীয় ব্যবসায়ীদের সাথে কথা হয়েছে। সারাদিনে ১০০ ট্রাকের বেশি আলু আমদানি হতে পারে। ফলে পেঁয়াজ ও আলুর দাম কিছুটা হলেও কমতে পারে।সোনামসজিদ স্থলবন্দর পানামা পোর্টলিংক লিমিটেডের জনসংযোগ কর্মকর্তা টিপু সুলতান বলেন, রপ্তানী বন্ধের ভেতরেও সকাল থেকে ভারত হতে পেঁয়াজ আমদানি শুরু হয়েছে। দুপুর ২টা পর্যন্ত ১৫টি ট্রাকে ৩ শত মেট্রিক টন পেঁয়াজ সোনামসজিদ স্থলবন্দরে প্রবেশ করেছে। পর্যায়ক্রমে আরও আসবে। তবে এখনো আলুর গাড়ি আসলেও প্রবেশের অপেক্ষায় রয়েছে আরও আনুমানিক ২ শত ট্রাক পেঁয়াজ ও আলু।সোনামসজিদ উদ্ভিদ সংনিরোধ কেন্দ্রের উপ-পরিচালক সমীর চন্দ্র ঘোষ বলেন, গতকাল এই স্থলবন্দর দিয়ে আলু ও পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ থাকলেও আজকে আবার আলু ও পেঁয়াজের ট্রাক প্রবেশ করতে শুরু করেছে। রাত ৮টার পর এ বিষয়ে বিস্তারিত জানানো যাবে।উল্লেখ্য, এর আগে ভারতে উৎপাদিত আলু ও পেঁয়াজ অন্য দেশে সরবরাহ করবে না বলে রপ্তানিতে স্পট বুকিং বন্ধ করে দেয় পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকার। এতে চাঁপাইনবাবগঞ্জের সোনামসজিদ স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে আলু ও পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ হয়ে যায়। ফলে এই এলাকায় বৃদ্ধি পায় আলু ও পেঁয়াজের দাম। ফলে গত ২৪ ঘণ্টায় (মঙ্গলবার সকাল থেকে বুধবার সকাল পর্যন্ত) কেজিতে পেঁয়াজের দাম বেড়েছিল ১৫-২০ টাকা পর্যন্ত এবং আলুর দাম বেড়েছিল কেজিতে ৫ টাকা করে।