বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) সকাল ১১ টায় উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সম্মেলন কক্ষে উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে আন্দোলনে শহিদ ও আহতদের স্মরণে এ স্মরণসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে৷উপজেলা নির্বাহী অফিসার তাহমিনা আক্তারের সভাপতিত্বে করিমগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ শাহাব উদ্দিন, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. রিয়াদ শাহেদ রনি, শহিদ মোবারক হোসেনের মা জামেনা খাতুন, শহিদ আব্দুল্লাহ রুবেলের বোন সুমাইয়া, আহত আবু মুসা শান্ত ও সাকিব আল হাসান প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।আহতের সুস্থতা কামনা করে ও শহীদদের আত্মার শান্তিকামনা করে মোনাজাত পরিচালনা করেন উপজেলা পরিষদ জামে মসজিদের ইমাম মাওলানা মোবারক হোসেন বুলবুল।উপজেলা প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীবৃন্দসহ প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ এ সভায় উপস্থিত ছিলেন।আন্দোলনে নিহতদের স্মৃতিচারণ করে সভাপতির বক্তব্যে উপজেলা নির্বাহী অফিসার তাহমিনা আক্তার বলেন, ‘হাজারো ছাত্র-জনতার জীবনের বিনিময়ে আমরা একটা নতুন স্বাধীন বাংলাদেশ অর্জন করেছি। এই আন্দোলন করতে গিয়ে হাজার হাজার ছাত্র-জনতা আহত ও পঙ্গু হয়েছেন।’ তিনি উল্লেখ করেন ‘জুলাই-আগষ্ট গণঅভ্যুত্থানের প্রেরণা নিয়ে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে, তাহলেই দেশের উন্নতি সম্ভব।’সদ্যমুক্ত বাংলাদেশকে আর কোনো ফ্যাসিবাদ যেন আঁকড়ে না ধরতে পারে সেদিকে সকলকে খেয়াল রাখতে হবে বক্তারা হুশিয়ারি উচ্চারণ করেন।স্মরণ সভা শেষে করিমগঞ্জ উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে উপজেলা নির্বাহী অফিসার তাহমিনা আক্তার শহিদ মোবারক ওশহিদ আব্দুল্লাহ রুবেলের পরিবারের কাছে অনুদানের চেক হস্তান্তর করেন।