কুষ্টিয়া সদর উপজেলার জিয়ারখী ইউনিয়নের হররা গ্রামের মো: আব্দুল আজিজের মেয়ে রুবেল হোসেনের স্ত্রী ছাবিনা বেগম ( ৪২) । স্বামী বেকার, অভাবের সংসার । উপায়ন্তর না দেখে কাজের বুয়া হয়ে মাত্র ৬০০/-টাকা মাসিক বেতনে কাজ করতো কুষ্টিয়া হাউজিং এষ্টের ২টি বাসায়। মাত্র ১২শ টাকায় কোন রকমে চলতো তার সংসার । অভাবকে জয় করার জন্য অদম্য ইচ্ছা তার ।
২০২২ সালের অক্টোবর মাসের প্রথম দিকে ছাবিনা কুষ্টিয়া হাউজিং এষ্টেটে অবস্থিত সেবা ( পল্লী উন্নয়ন সংস্থা ) এর কার্যালয়ে আসেন। সংস্থার নির্বাহী পরিচালক শামসুল আলম স্বপনকে জানান তার পরিবারের অভাব অনটনের কথা। তিনি চান ছাগল পালন করতে । কিন্তু টাকার অভাবে ছাবিনা ছাগল কিনতে পারছেন না । তাকে ছাগল দিলে সংসারের অভাব দুর করতে পারবেন এমনটি জানালে নির্বাহী পরিচালক ছাবিনার বিষয়ে খোঁজ নিতে বলেন ওই এলাকার সমাজ সেবক ডা. সাগরকে যিনি সেবা সংস্থার উন্নয়নমূলক কাজে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে সহযোগিতা করে থাকেন। ছাবিনার দেয়া তথ্য সঠিক হওয়ায় তাকে উপকার ভোগি সদস্য হিসেবে অন্তর ভুক্ত করা হয়। এরপর ২০২২ সালের ৯ সেপ্টেবর বাংলাদেশ এনজিও ফাউন্ডেশনের আর্থীক সহযোগিতায় তাকে বিনামূল্যে ২টি ব্লাক বেঙ্গলের পাটি ছাগল প্রদান করা হয়। সেই থেকে ছাবিনা ছাগল পরিচর্যা করে অভাবকে জয় করেছে।
ছাবিনা বলেন, আমি এখন আর অভাবকে ভয় করিনা। আমার পাশে আছে সেবা সংস্থা ও বালাদেশ এনজিও ফাউন্ডেশন। তিনি বলেন খাসি ছাগলের বাচ্চা বড় করে বিক্রি করি আর পাটি ছাগল পালন করি। ছাবিনা আশা প্রকাশ করেন আগামী বছরে সে ৫০ হাজার টাকার ছাগল বিক্রি করতে পারবে। সে এই টাকা দিয়ে জমি বন্ধুক রেখে সবজি চাষ করার ইচ্ছা ব্যক্ত করেন। ছাবিনা বলেন, সেবা সংস্থা ও বালাদেশ এনজিও ফাউন্ডেশনের কারণে আজ আমি সুখের পথে পা বাড়িয়েছি।