শৈশব থেকে ছবি আঁকাতেন জ্যোতিময় চাকমা। এক টুকরা কাগজ পেলে পাহাড়ের কোলে, গাছের ছায়ায় বসে ছবি আঁকতেন। পাহাড়ের প্রকৃতি তাকে আকৃষ্ট করেছে,শিল্পী হিসাবে গড়ে উঠতে প্রেরণা দিয়েছে। জ্যোতিময় চাকমা খাগড়াছড়ি দীঘিনালার ধনপাতা গ্রামে বেড়ে উঠেন। বর্তমানে রাঙ্গামাটি সরকারী কলেজে বি,এস,সি ২য় বর্ষে ফাইনাল পরীক্ষা দিয়েছেন। মা,বাবা ও তিন ভাই বোনকে নিয়ে দুর্গম পাহাড়ে জনপদে তাদের ছোট্ট সংসার। বাবা চয়ন চাকমা একজন কৃষক। ছেলের পড়াশুনার খরচ বহন করা সামর্থ্য বাবার নেই। নিজের ছবি জ্যোতিময় চাকমাকে নিজস্ব পরিচয় তুলে ধরেছে।
দেশের খ্যাতিমান ব্যক্তিদের পাশাপাশি নিজের স্কুল কলেজের শিক্ষকদের ছবি এঁকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পোষ্ট দেন নিয়মিত। কষ্টে টিউশনি করে পড়াশুনা চালিয়ে নেওয়ার পাকে ইতি মধ্যে বাঙাল্যা করুণা পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মনোরথ তালুকদার পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ছাতরা ছড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মিনা কাটুন এঁকে সকলের নজর কেড়েছেন। মানুষের ভালোবাসা উৎসাহ মা,বাবার অপ্রতিরোধ্য স্বপ্ন এবং ইচ্ছাশক্তি সামনে এগিয়ে যাওয়ার অনুপ্রেরণা জোগাবে। তিনি বলেন নিজের জাতিকে বিশ্বমঞ্চে দেশকে উপস্থাপন করা তার লক্ষ্য।
৫নং বাবুছড়া ইউপি চেয়ারম্যান বলেন আমার ইউনিয়নে এমন মেধাবী ছাত্র দেখে আমি গর্ববোধ করি। আমি মনে করি প্রত্যন্ত জনপদে পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীকে সামনে এগিয়ে নিতে সরকারের পৃষ্ঠপোষকতা খুবই প্রয়োজন।