1. admin@desh-bulletin.com : নিজস্ব প্রতিবেদক : দৈনিক প্রতিদিনের অপরাধ
রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:০৭ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
মাগুরা চৌরঙ্গী মেড়ে অবস্থিত মাগুরা প্রেসক্লাবের অভিষেক অনুষ্ঠান ২০২৪ লালমনিরহাটে বাবু গয়েশ্বর চন্দ্র রায় চৌধুরী বলেন মানুষ সংস্কার বুঝে না, বুঝে শুধু উন্নয়ন রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে জুলাই-আগষ্টে গণঅভ্যুস্থানে আহত ও শহীদদের স্মরণে স্মরণ সভা অনুষ্ঠিত দুপচাঁচিয়া যাত্রী ছাউনীর বেহাল অবস্থা তারেক রহমান ও শাহ্ মোফাজ্জল হোসেন কায়কোবাদের মামলা প্রত্যাহার না করলে আন্দোলনের ও বৃহত্তর কর্মসূচির হুমকি হিন্দু সম্প্রদায়ের ৬৫তম রুহিয়া আজাদ মেলা উদ্বোধন দৌলতপুরে চাচাতো ভাইয়ের লাঠির আঘাতে মাছ ব্যবসায়ীর মৃত্যু শেখ হাসিনা বাকশাল তৈরি করতে চেয়েছিলেন, ভেবেছিলেন গণতন্ত্রের মোড়কে বাকশাল চলবে শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হরিরামপুর ইউনিয়নে পন্থি ভূমি দস্যুকর্তৃক ৫ লক্ষ টাকার বাগানের গাছ কর্তনের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

বাংলাদেশের পরম বন্ধু কবি অ্যালেন গিন্সবার্গ

সংবাদ দাতার নাম
  • প্রকাশের সময় : শুক্রবার, ৫ জুন, ২০২০
  • ১৮৩ বার পড়া হয়েছে

তিনি ছিলেন বাংলাদেশের পরম বন্ধু। মুক্তিযুদ্ধে সময় তিনি ভারতে আশ্রয় নেয়া শরণার্থীদের নিয়ে কবিতা ও গান লিখেছেন। শুধু তাই নয়, শরণার্থীদের জন্য তহবিল সংগ্রহ করেছেন। যদিও তার দেশের সরকার আমাদের স্বাধীনতা আন্দোলনের ঘোর বিরোধী ছিল। তারা শত্রপক্ষ পাকিস্তান সরকারকে সমর্থন করে আসছিলো। আর এই দেশের মানুষ হয়ে সরকারের বিপরীত মেরুতে অবস্থান নিয়ে বাংলাদেশকে মনেপ্রাণে সমর্থন জুগিয়ে গেছেন এই কবি।

এতক্ষণ যার কথা বলছিলাম তিনি হলেন মার্কিন কবি অ্যালেন গিন্সবার্গ। আজ এই মহান মানুষটির জন্মদিন। তিনি ১৯২৬ সালের ৩ জুন যুক্তরাষ্ট্রের নিউ জার্সিতে এক ইহুদি পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি একাধারে কবি, লেখক, গীতিকার এবং মানবাধিকার ও সাংস্কৃতিক আন্দোলনের নিবেদিতপ্রাণ কর্মী। তবে তার সবচেয়ে বড় পরিচয় তিনি আমাদের স্বাধীনতা আন্দোলনের একজন বিরাট সমর্থক ও সহায়তাকারী।

গিন্সবার্গ ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় ভারতীয় সাহিত্যিক সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের সাথে ভারতে অবস্থিত বাংলাদেশী শরণার্থী শিবিরগুলোতে ঘুরে বেরিয়েছিলেন। এসময় যশোরের অভিজ্ঞতা নিয়ে মুক্তিযুদ্ধের ওপর বিখ্যাত ‘সেপ্টেম্বর অন যশোর রোড’ কবিতাটি লেখেন। যুক্তরাষ্ট্রে ফিরে গিয়ে বন্ধু বব ডিলান ও অন্যদের সহায়তায় এই কবিতাটিকে তিনি গানে রূপ দিয়েছিলেন। কনসার্টে এই গান গেয়ে গেয়ে এই দুই কবি বাংলাদেশি শরণার্থীদের সহায়তার জন্য অর্থ সংগ্রহ করেছিলেন।

তিনি ১৯৫০-এর দশকের বিট প্রজন্ম এবং বিপরীত সংস্কৃতি আন্দোলনের নেতৃস্থানীয় ব্যক্তি। তিনি সামরিকতন্ত্র, অর্থনৈতিক বস্তুবাদ এবং যৌন নিপীড়নের ঘোর বিরোধী ছিলেন।

প্রথম জীবনে গিন্সবার্গ তার ‘হাউল’(১৯৫৬) মহাকাব্যের জন্য সর্বাধিক পরিচিতি পান, যেখানে তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পুঁজিবাদের ধ্বংসাত্মক শক্তিকে নিন্দা করেন। এই কবিতাটি লিখেছিলেন তার বিট প্রজন্মের বন্ধুদের বরণ করে নিয়ে এবং বস্তুবাদের ধ্বংসাত্মক শক্তিকে আক্রমণ করে।

তিনি ছিলেন সমকামী ধারণার একজন বড় সমর্থক। এজন্য নিজের জীবদ্দশায় তাকে অনেক সমালোচনা ও নিন্দা সহ্য করতে হয়েছে। তারপরও তিনি সমকামীদের প্রতি সমর্থন জুগিয়ে গেছেন। সমকামীদের অধিকার ও স্বাধীনতা রক্ষায় সারাজীবন আন্দোলন করেছেন। তিনি সমকামীতার সপক্ষে অনেক কবিতাও লিখেছেন। সমকামী বিয়েতে উৎসাহ জোগাতে তিনি তার বন্ধু কবি পিটার অরলোভস্কিকে বিয়ে করেন। এ ঘটনার পর যুক্তরাষ্ট্রের অন্যান্য সমকামী লেখক ও কবিরা সমকামিতা নিয়ে প্রাকাশ্যে কথা বলার সাহস পেয়েছে। আর তাদের অগ্রপথিক ছিলেন গিন্সবার্গ।

অ্যালেন গিন্সবার্গ ভারতবর্ষে থাকাকালীন সর্বাধিক সময় কাটিয়েছিলেন কলকাতায়। ১৯৬২-১৯৬৩ সালে তিনি পশ্চিমবাংলার কবিদের ঘনিষ্ঠ হয়ে উঠেছিলেন। তার সঙ্গে হাংরি আন্দোলনের কবি শক্তি চট্টোপাধ্যায় ও মলয় রায়চৌধুরীর হৃদ্যতা গড়ে ওঠে এবং তিনি আমেরিকায় ফিরে গিয়ে হাংরি আন্দোলনের কবিদের রচনা সেখানকার প্রখ্যাত পত্রিকাগুলিতে প্রকাশের ব্যবস্থা করেছিলেন। অ্যালেন গিন্সবার্গের বিখ্যাত কবিতা ‘হাউল’ এবং ‘ক্যাডিশ’ বাংলায় অনুবাদ করেছেন মলয় রায় চৌধুরী।

এই মানবতাবাদী কবি ১৯৭৫ সালের ৫ এপ্রিল মারা যান।

এমএ/

এ বিভাগের আরো সংবাদ
© দেশ বুলেটিন 2023 All rights reserved
Theme Customized BY ITPolly.Com