দেশে যখন একদিকে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস তাণ্ডব চালাচ্ছে। ঠিক অন্যদিকে দেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইতিহাসে প্রথমবারের মতো আম ব্যবসায়ীদের জন্য এক অনন্য উপহার দিয়েছেন।
আজ বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রীর এই উপহারের কথা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে স্ট্যাটাসের মাধ্যমে তুলে ধরেছেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম। বাংলাদেশ জার্নালের পাঠকদের জন্য ফেসবুক স্ট্যাটাসটি হুবহু তুলে ধরা হল-
বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথম বারের মতো আম ব্যবসায়ীদের জন্য দেশরত্ন শেখ হাসিনার এক অনন্য উপহার
(যা আলোচনা হয়েছিলো আমাদের বৈঠকে কয়েকদিন আগে। রাজশাহী, চাপাইনবাবগঞ্জ, নাটোর, নওগাঁর সবাই শেয়ার করুন)
চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে যখন ঢাকা যাবে, তখন ট্রেনটির নাম হবে ‘ম্যাঙ্গো স্পেশাল ট্রেন-২’। আর ঢাকা থেকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ ফেরার পথে নাম হবে ‘ম্যাঙ্গো স্পেশাল ট্রেন–১’। ট্রেনটি প্রতিদিন চলাচল করবে। প্রতিদিন চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে বিকেল ৪টায় ছেড়ে আসবে। রাজশাহী পৌঁছাবে ৫টা ২০ মিনিটে। এখানে ৩০ মিনিট থেমে ৫টা ৫০ মিনিটে যাত্রা শুরু করবে। এরপর ঢাকায় পৌঁছাবে রাত ১টায়। ঢাকা থেকে ট্রেনটি রাত ২টা ১৫ মিনিটে ছেড়ে আসবে। রাজশাহী পৌঁছাবে সকাল ৮টা ৩৫ মিনিটে। এখানে ২০ মিনিট থেমে ট্রেনটি চাঁপাইনবাবগঞ্জের উদ্দেশে ছেড়ে যাবে। পৌঁছাবে সকাল ১০টা ১৫ মিনিটে।
ট্রেনটিতে মোট ছয়টি ওয়াগন থাকবে। প্রতিটি ওয়াগনে ৪৫ হাজার কেজি আম নেওয়া যাবে। তবে শুধু আম নয়; সব ধরনের শাকসবজি, ফলমূল, ডিমসহ কৃষিপণ্য, বাড়ির আসবাব এবং রেলওয়ের আইনে পার্সেল হিসেবে বহনযোগ্য সব সামগ্রী বহন করা হবে।
ফুয়াদ হোসেন জানান, চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে ছেড়ে এসে ট্রেনটি আমনূরা বাইপাস, কাঁকনহাট, রাজশাহী, সরদহ, আড়ানি ও আব্দুলপুর বাইপাস স্টেশনে থামবে। এসব স্থানে আমসহ পার্সেল পণ্য ট্রেনে তোলা হবে। টাঙ্গাইল, মির্জাপুর, কালিয়াকৈর, জয়দেবপুর, টঙ্গী, বিমানবন্দর, ক্যান্টনমেন্ট, তেজগাঁও ও কমলাপুর স্টেশনে ট্রেনটি থামবে। এই স্থানগুলোতে পণ্যগুলো খালাস করা হবে। ফেরার পথে ট্রেনটি তেজগাঁও, টঙ্গী, টাঙ্গাইল, সিরাজগঞ্জ এম মনসুর আলী, চাটমোহর ও রাজশাহী স্টেশনে থামবে। তবে যাত্রাপথে কোথাও সাধারণ যাত্রী এ ট্রেনে তোলা হবে না। আমসহ অন্য পার্সেল তুলেতে কুলিদের জন্য ভাড়াও নির্ধারণ করা হয়েছে।
ট্রেনটিতে রাজশাহী স্টেশন থেকে এক কেজি আম ঢাকার বিমানবন্দর, তেজগাঁও বা কমলাপুরে নিতে খরচ পড়বে ১ টাকা ১৮ পয়সা। আর চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে এক কেজি আমের ভাড়া লাগবে ১ টাকা ৩১ পয়সা। রেলওয়ের নিয়ম অনুযায়ী, ট্রেন ছাড়ার আগে যে কেউ তাঁদের মালামাল বুকিং দিতে পারবেন।
বাংলাদেশ জার্নাল/ওয়াইএ