শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৩টার পর থেকে তিস্তা ব্যারেজ পয়েন্টে পানিপ্রবাহ বৃদ্ধি পেতে শুরু করে। পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বিকেল ৬টায় তিস্তা ব্যারেজ পয়েন্টে পানিপ্রবাহ ৫০ দশমিক ১০ সেন্টিমিটার রেকর্ড করা হয়েছে, যা স্বাভাবিকের চেয়ে কিছুটা কম (স্বাভাবিক ৫২ দশমিক ১৫ সেন্টিমিটার)। তবে পানির পরিমাণ আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
তিস্তা পাড়ের কৃষকরা পানি বৃদ্ধিতে ফসল নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা করছেন। তিস্তার জেগে ওঠা বালুচরে রসুন, পিয়াজ, মিষ্টি কুমড়া, ডাল ও বাদামসহ বিভিন্ন ফসলের ক্ষতি হতে পারে বলে জানিয়েছেন তারা। কৃষক হজরত আলী বলেন, ‘তিস্তার পানি নিয়ে আমরা আন্দোলন করতে যাচ্ছি, ঠিক তখনই ভারত পানি ছেড়েছে। এটা তাদের চাল। এই মৌসুমে সাধারণত ভারত পানি ছাড়ে না।’
আদিতমারীর গোবর্ধন এলাকার মতিয়ার রহমান মেম্বার বলেন, ‘লাখ লাখ মানুষের অংশগ্রহণে আমাদের আয়োজনে তিস্তা খননের দাবি জানাবো। এভাবে আর তিস্তার দুঃখ চাই না। এই সময়ে ভারত পানি ছেড়ে আমাদের দাবি নস্যাৎ করতে চায়।’
তিস্তা পাড়ের জেলে মন্টু মিয়া বলেন, ‘তিস্তার জেগে ওঠা চড়ে ৩ বিঘা জমিতে রসুন ও পিয়াজ আবাদ করেছি। ভারত পানি ছাড়লে আমার ফসল ডুবে যাবে। এখন ফসল নিয়ে আশঙ্কায় আছি।’
পানি উন্নয়ন বোর্ডের পানি পরিমাপ অপারেটর নুরুল ইসলাম বলেন, ‘ভারত থেকে পানি ছেড়ে দেয়ায় তিস্তা ব্যারেজ পয়েন্টে পানির প্রবাহ বেড়েছে। কত পানি আসবে তা এখনই বলা যাচ্ছে না।’
তিস্তা নদীরক্ষা আন্দোলনের সমন্বয়ক ও বিএনপির বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ আসাদুল হাবিব দুলু বলেন, ‘তিস্তার পানি বৃদ্ধির বিষয়টি শুনেছি। তবে আগামী ১৭ ও ১৮ ফেব্রুয়ারি তিস্তা পাড়ে ৪৮ ঘণ্টা অবস্থান কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে।