1. admin@desh-bulletin.com : নিজস্ব প্রতিবেদক : দৈনিক প্রতিদিনের অপরাধ
বুধবার, ২১ মে ২০২৫, ০১:১৪ অপরাহ্ন

মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন দাবিতে তিস্তার চরে ৪৮ ঘণ্টার অবস্থান।

মোঃ রাকিবুল ইসলাম
  • প্রকাশের সময় : সোমবার, ১৭ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫
  • ৩৪ বার পড়া হয়েছে
তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের দাবিতে জাগো বাহে তিস্তা বাঁচাই-এই স্লোগানে তিস্তা পাড়ে রংপুর বিভাগের পাঁচ জেলায় বৃহৎ আন্দোলন করছে তিস্তা নদী রক্ষা আন্দোলন। এ উপলক্ষে ইফতার চরের ১১টি স্থানে ২০ লাখ মানুষের জমায়েত উদ্যোগ নিয়েছে সংগঠন। আজ সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুর থেকে টানা ৪৮ ঘণ্টার লাগাতার কর্মসূচি পালন করা হবে। এর মাধ্যমে তিস্তাপাড়ের মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে দাবি বাস্তবায়নে চাপপ্রয়োগসহ বিশ্ব পরিমণ্ডলে তিস্তার দুঃখ তুলে ধরা হবে। কর্মসূচি বাস্তবায়নে তিস্তার বুকে মঞ্চ তৈরিসহ যাবতীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। কর্মসূচি সফল করতে ব্যাপক প্রচারণার সাথে সাথে লিফলেট বিতরণ করা হয়েছে। ৩০ থেকে ৪০ হাজার মানুষের রাতযাপনের প্যান্ডেল, সমাবেশ ও বিনোদনের জন্য মঞ্চ তৈরি, পর্যাপ্ত লাইটের ব্যবস্থা করা, পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা, বিশুদ্ধ পানির জন্য নলকুপ স্থাপনসহ সব ধরনের কাজ শেষ হয়েছে। এ আন্দোলনের মাধ্যমে সরকার যদি তিস্তা চুক্তি ও মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন না করে তবে লাগাতার কর্মসূচি চলবে। আন্দোলন কর্মসূচির অংশ হিসেবে তিস্তা নদী বেষ্টিত লালমনিরহাট, কুড়িগ্রাম, নীলফামারী, রংপুর ও গাইবান্ধা জেলার ১১টি পয়েন্টে সমাবেশ, পদযাত্রা, সাংস্কৃতিক পরিবেশনা করবে তিস্তা নদী রক্ষা আন্দোলন কমিটি। এর মধ্যে রংপুরের কাউনিয়া রেলসেতু ও গঙ্গাচড়া মহিপুর বাজার সংলগ্ন তিস্তা নদীর বুকে রংপুরের কর্মসূচি পালিত হবে। মহিপুর তিস্তায় গিয়ে দেখা যায়, কর্মসূচিকে ঘিরে তিনটি বড় বড় প্যান্ডেল করা হয়েছে। এর মধ্যে একটি সমাবেশ ও সাংস্কৃতিক পরিবেশনার জন্য, একটি রাত্রিযাপনের এবং একটি খাবার তৈরি ও পরিবেশনের। মহিপুর এলাকার কৃষক নাজিম উদ্দিন বলেন, ‘জাগো বাহে তিস্তা বাঁচাই’ স্লোগানে বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ আসাদুল হাবীব দুলুর নেতৃত্বে আন্দোলন কর্মসূচি হবে। এ লক্ষ্যে আমাদের সকল ধরনের প্রস্তুতি শেষ হয়ে গেছে। আশা করছি এ আন্দোলনের মাধ্যমে আমরা বিশ্ববাসীকে জানিয়ে দিতে পারবো আমাদের প্রতিবেশী রাষ্ট্র পানির ন্যায্য হিস্যা দিচ্ছে না। তিস্তা নদী রক্ষা আন্দোলন কমিটির প্রধান সমন্বয়কারী, বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ আসাদুল হাবীব দুলু বলেন, তিস্তা চুক্তি ও মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন কোনো ব্যক্তি, গোষ্ঠী বা কোনো রাজনৈতিক দলের নয়। এটি রংপুর বিভাগবাসীর আন্দোলন। এই আন্দোলন জনদাবিতে পরিণত হওয়ায় এতে তিস্তাপাড়ের মানুষের স্বতঃস্ফুর্ত অংশগ্রহণ রয়েছে। আশা করছি দু’দিন ব্যাপক লোকসমাগম ঘটবে। তিনি আরো বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ১৮ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় ৫ জেলার ১১টি পয়েন্টে ভার্চুয়ালি যুক্ত হবেন। বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ১৭ তারিখ তিস্তা পাড়ের সমাবেশে বক্তব্য দেবেন। এছাড়া বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা সংহতি জানাতে তিস্তাপাড়ে আসবেন।
এ বিভাগের আরো সংবাদ
© দেশ বুলেটিন 2023 All rights reserved
Theme Customized BY ITPolly.Com