বগুড়া শহরের কলোনির বাসিন্দা মোছাঃ জিন্নাত আরা গতকাল শনিবার বগুড়া প্রেশ ক্লাবে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে তার বাড়ি ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগ করেছেন। সংবাদ সম্মেলনে তিনি বগুড়া জেলা যুবলীগের সহ-সভাপতি ফেরদৌস মাহমুদ সেলিম এবং জেলা যুবদল সাধারণ সম্পাদক আবু হাসানকে দায়ী করেন। এদিকে জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক আবু হাসান সংবাদ সম্মেলনে করা অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, তার বিরুদ্ধে উত্থাপিত সকল অভিযোগ মিথ্যা।সংবাদ সম্মেলনে জিন্নাত আরা বলেন, আওয়ামী লীগ নেতা মঞ্জুরুল আলম মোহনের ব্যবসায়ীক পার্টনার বগুড়া জেলা যুবলীগের সহ-সভাপতিফেরদৌস মাহমুদ সেলিম তাকে অনেক নির্যাতন করেছেন। সেলিম-মোহনের ছত্রছায়ায় এবং বর্তমানে আবু হাসানকে সঙ্গে নিয়ে তাদের বাড়িঘর ভাঙচুর ও লুটপাট করা হয়েছে। বিহারী সামসাদকে দিয়ে একটি টর্চার সেল বানায়। এই সেলিম তাদের দেবর মিনকোকে ক্রসফায়ার করায় বলে অভিযোগ করা হয়। তিনি বলেন, ৫ আগস্টের পর ফ্যাসিস্ট সরকারের পতনের পর সেলিম পালিয়ে গেলেও হাসান-সেলিমের নির্দেশে কলোনিতে সেলিমের ব্যবসা-বাণিজ্য, সেলিমের বাড়ি-ঘর দেখাশুনা করছেন। গত ২৬ ফেব্রুয়ারি বেলা ১১টায় সন্ত্রাসীরা তার পরিবারের লোকজনকে প্রাণনাশের হুমকি দেন। আগে সেলিম তাদের বসতভিটা দখল করতে না পেরে বর্তমানে হাসানের মাধ্যমে দখলের চেষ্টা করছেন। তিনি বলেন, হাসানের কলোনিতে একটি পাঁচতলা বাড়ি, ১০ তলা ফাউন্ডেশন দিয়ে আরও একটি বাড়ি নির্মাণাধীন এবং ৪৫ লাখ টাকা মূল্যের একটি গাড়িতে করে চলাফেরা করছেন। সংবাদ সম্মেলনে তিনি বাড়িটি রক্ষা, তার কেনা বাড়িটি উদ্ধার এবং পরিবারকে বাঁচানের আহবান জানান। এদিকে জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক আবু হাসান জানান, তার নিজের গাড়িতো দূরের কথা তার মোটরসাইকেলও নেই। আওয়ামী লীগের কোন সদস্যদের সাথে তার কোন সম্পর্ক নেই। তার বিরুদ্ধে করা অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা।