পটুয়াখালীর গলাচিপায় নাইমা কবির ডায়াগনস্টিক সেন্টার এন্ড ক্লিনিকে সদ্য ভুমিষ্ঠ হওয়া নবজাতককে মেরে ফেলার অভিযোগ ওঠে। গত ৪ মার্চ মঙ্গলবার দুপুরের দিকে প্রসূতি, স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ও সার্জন সিনিয়র কনসালটেন্ট ডাঃ নাইমা কবির নবজাতককে মেরে ফেলেছে বলে অভিযোগ তুলেছেন মৃত শিশুটির বাবা হাসান হাওলাদার।
রোগী সালমা বেগমের (২৮) শারীরিক পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় গলাচিপা দশ শয্যা মা ও শিশু হাসপাতাল থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য জেলা হাসপাতালে না পাঠিয়ে কমিশনের জন্য নার্স লিপি মুঠোফোনে রেফার করে ভর্তি করান নাইমা কবির ডায়াগনস্টিক সেন্টার এন্ড ক্লিনিকে।
দুপুর এক টার দিকে শিশুটি ভূমিষ্ট হলেও দীর্ঘসময় পৃথিবীর আলো দেখা হলোনা নবজাতকের। উপস্থিত আত্নীয়রা বিশ মিনিট আগে অটিতে শিশুটির কান্নার শব্দ শুনতে পেলেও জীবিত অবস্থায় চোখের দেখাটা দেখতে পারেননি। ডাঃ বললেন রোগীকে বাঁচাতে হবে ব্লাড প্রয়োজন মা বাঁচলেও কোন কারনে বাঁচানো যায়নি নবজাতক শিশুটিকে।
৭০ বছর বয়সী সিনিয়র কনসালটেন্ট ডাঃ নাইমা কবিরের বিরুদ্ধে আরও অভিযোগ রয়েছে ভুক্তভোগীদের। এছাড়া আরও জানাযায়, ভুল চিকিৎসার কারণে মহিপুর থানা থেকে আওয়ামী লীগ শাসন আমলে ধাওয়া খেয়ে গলাচিপা উপজেলায় শিকোর গেড়ে বসেছেন ডাঃ নাইমা কবিরে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ডাক্তার জানান, সিনিয়র কনসালটেন্ট পরিচয় দেওয়া ডাঃ নাইমা কবিরের ডিগ্রি নিয়ে রয়েছে ধোঁয়াশা। নাইমা কবির ডায়াগনস্টিক সেন্টার এন্ড ক্লিনিকের এনেস্থিসিয়া ডাঃ সুমন কাগজে কলমে থাকলেও সেখানে আছে সন্দেহ। নেই অক্সিজেনের ব্যবস্থা, নেই ইউকিবেটর, পরীক্ষা নীরিক্ষার জন্য মেশিন ও যন্ত্রপাতি থাকলেও একাডেমিক প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত প্যাথলজিস্ট নেই।
সিনিয়র কনসালটেন্ট ডাঃ নাইমা কবির জানান, আমি গাইনি কনসালটেন্ট পি, এইচ, ডি, (রাশিয়া) করা। আমার একমাত্র ফোকাস ছিল মাকে বাঁচান। যেহেতু মা অনেক খারাপ ছিল। যখন বাচ্চা হয়েছে তখন বাচ্চা জীবিত ছিল আমরা বাচ্চাকে বাঁচানোর জন্য খুবই চেষ্টা করেছি, যতটুকু করা যায়। কোন কিছুই গ্যারান্টি না রোগীকে বাঁচানোর জন্য সকল কিছু সম্ভব।
উপজেলায় ব্যাঙের ছাতার মতো গড়ে উঠছে নাইমা কবির ডায়াগনস্টিক সেন্টার এন্ড ক্লিনিক। জেলা সিভিল সার্জন এবং উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা ও স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের টিএইচও তাদের সুদৃষ্টি কামনা করছেন সুধী সমাজ। অন্যথায় আরও প্রাণ হারাতে হবে, বুক খালি হবে কোন এক মায়ের।