কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচরে ঘুমন্ত চালকের গাড়ি চাপায় এক রোজাদার বৃদ্ধ সড়ক নির্মাণ শ্রমিক নিহত হয়েছেন। শুক্রবার (৭ মার্চ) দুপুর ১টার দিকে ভৈরব কিশোরগঞ্জ আঞ্চলিক সড়কে কুলিয়ারচর দাড়িয়াকান্দি-কান্দিগ্রাম খনকখালী ব্রিজ সংলগ্ন স্থানে এ ঘটনা ঘটে। নিহত নির্মান শ্রমিক আসলাম পুরামানিক (৬৫) নাটোর বড়াইগ্রাম থানার লাতুরিয়া গ্রামের মৃত সওকত পুরা মানিক ছেলে। সে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর কিশোরগঞ্জের অধিনে কুলিয়ারচর অংশে সড়কের সংস্কার কাজ করছিলেন। জানা যায়, ভৈরব কিশোরগঞ্জ আঞ্চলিক সড়কে কুলিয়ারচর উপজেলা দাড়িয়াকান্দি-কান্দিগ্রাম গনকখালি ব্রিজ সংলগ্ন স্থানে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর কিশোরগঞ্জের অধিনে সাইনবোর্ড বসিয়ে সড়ক সংস্কারের কাজ করছিলেন কয়কজন শ্রমিক। এসময় কিশোরগঞ্জ থেকে আসা ভৈরবগামী (ঢাকা মেট্রো-উ ১১-৩৫৯৪) একটি ক্রাউন সিমেন্টের গাড়ি ব্রিজের কাছে আসলে শ্রমিকরা গাড়িটিকে সিগনাল দেয়। এসময় ড্রাইভার ঘুমিয়ে থাকায় সিগনাল দেখতে না পেয়ে, সাইনবোর্ড সহ নির্মাণ শ্রমিকের উপরে তুলে দেয় ড্রাইভার। এতে ঘটনা স্থলেই আসলাম পুরামানিক নিহত হয়। এ ঘটনায় ড্রাইভারসহ ক্রাউন সিমেন্টের গাড়িকে আটক করে ভৈরব হাইওয়ে থানায় নেওয়া হয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শী নির্মাণ শ্রমিক মোস্তফা (৫৫) বলেন, গাড়িটি যখন কাছাকাছি আসে তখন নিহত আসলাম সড়ক সংস্কারের সাইনবোর্ডের পাশে দাড়িয়ে গাড়িটিকে সিগনাল দিচ্ছিলেন, কিন্তু গাড়িকে কোনো রকম সিগনাল না মেনে সাইনবোর্ড সহ তাকে চাপা দেয়। এতে ঘটনা স্থলেই সে মারা যায়। ক্রাউন সিমেন্টের গাড়ির ড্রাইভার রজব আলী (৩০) বলেন, আমি গাড়ি চালাতে চালাতে ঘুমিয়ে পড়েছিলাম, কীভাবে ঘটনা ঘটেছে বুঝতে পারিনি। গাড়িতে কোনো হেল্পার ছিলো কি-না এমন প্রশ্নে উত্তরে সে জানান, ক্রাউন সিমেন্ট কোম্পানি কোনো হেলপার দেয় না। ভৈরব হাইওয়ে থানার এসআই শামীম বলেন, এ ঘটনায় ট্রাক ও ড্রাইভারকে আটক করা হয়েছে। নিহতের পরিবারের আবেদনের প্রেক্ষিতে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।