নেত্রকোনার কেন্দুয়ায় ২০২২ সালের তুলনায় ২০২৩ সালে অস্বাভাবিক মৃৃত্যুর হার কমেছে। ২০২২ সালে অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছিল ৭৭টি আর ২০২৩ সালে ঘটেছে ৫০টি। বেশির ভাগ আত্মহত্যা ও পানিতে ডুবে মৃত্যু হয়েছে। তাছাড়া এর মধ্যে রয়েছে খুন, সড়ক দুর্ঘটনা, বিষপান, বিদ্যুৎস্পৃৃষ্ট হয়ে মৃত্যু। জানা যায়, ২০২৩ সালে হাত্যাকাণ্ডের শিকার হয়ে প্রাণ হারিয়েছে ৭ জন, গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছেন ১২ জন, বিষপানে আত্মহত্যা করেছে ২ জন, বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হয়েছে ৯ জন, পানিতে ডুবে মারা গেছেন ১৭ জন, অজ্ঞাত কারণে মৃত্যু হয়েছে ১ জন।
এদিকে সড়ক দুর্ঘটনায় বেশ কয়েকজনের মৃত্যুর ঘটনা ঘটলেও থানায় রেকর্ডভুক্ত হয়নি একটিও। ফাঁস লাগিয়ে মৃত্যুর মধ্যে রয়েছে- স্কুল শিক্ষার্থী থেকে অল্প বয়সী নারী ও পুরুষ। আর পানিতে ডুবে বেশির ভাগ মৃত্যু হয়েছে শিশুর। এদিকে কেন্দুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বিষপান ও ফাঁসিতে ঝুলে আক্রান্ত হয়ে শতাধিক নারী-পুরুষ চিকিৎসা নিয়েছেন। এদের মধ্যে স্কুল ও কলেজপড়ুয়া শিক্ষার্থীসহ অল্প বয়সী গৃহবধূ রোগীর সংখ্যা বেশি।পৌরসভাসহ চিরাং, সান্দিকোনা, কান্দিউড়া, মাসকা, গড়াডোবা ও বলাইশিমুল ইউনিয়নে এ জাতীয় মৃত্যুর সংখ্যা বেশি। আশুজিয়া ইউনিয়নে একজন চিকিৎসা নিয়েছেন। আর দলপা ও পাইকুড়া ইউনিয়নে এ সংক্রান্ত কোন রোগী চিকিৎসা নেয়নি বলে সূত্রে জানায়। ভৌগোলিক কারণে কেন্দুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিতে আসেন না অনেকেই। তারা পাশের উপজেলায় চিকিৎসা নেন বলেও জানান স্থানীয়রা। বিষপান ও ফাঁসিতে আক্রান্ত রোগীদের ব্যাপারে কোনো কার্যকরী ব্যবস্থা নেয়নি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
তবে, ২০২২ সালে খুনের শিকার হয়েছিল ৮ জন, গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছিলেন ২৭ জন, বিষপানে আত্মহত্যা করেছে ৩ জন, বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হয়েছে ৭ জন, পানিতে ডুবে মারা গেছেন ২৪ জন, অজ্ঞাত কারণে মৃত্যু হয়েছে ৬ জন ও সড়ক দুর্ঘটনায় দুইজনের মৃত্যু থানায় রেকর্ড হয়েছিল। কেন্দুয়া থানার ওসি মো. এনামুল হক বলেন, শিক্ষার্থী ও নারীরা আবেগপ্রবণ। আত্মহত্যা একটি অপরাধ। এসব অপরাধ দমনে আমরা নানাভাবে সচেতনতামূল কাজ করে যাচ্ছি। এজন্য আগের চেয়ে ২০২৩ এ সংক্রান্ত অপরাধ কম ঘটেছে। আশা করি অভিভাবকরা সচেতন হলে আত্মহত্যা ও পানিতে ডুবে মৃত্যু রোধ করা সম্ভব।