কৃষ্ণপুর ইউনিয়নে জুয়ার আসর থেকে ৫নং ওয়ার্ডের মেম্বার জাকির ও ৬ নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি বিল্লাল মিয়া সহ গ্রেফতার ১৩।
নেত্রকোণার খালিয়াজুরীতে জুয়ার আসর থেকে সংঘবদ্ধ জুয়ারীদের গ্রেফতার করেছে খালিয়াজুরী থানা পুলিশ। রবিবার (২০ জানুয়ারী) রাত সাড়ে বারোটার সময় কৃষ্ণপুর ইউনিয়নের বেরি মুসলিমপুর থেকে জুয়া খেলার আসর থেকে জুয়ার সামগ্রী ও নগদ অর্থসহ ১৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়।
আটককৃত ব্যক্তিরা হল- কুতুবপুর গ্রামের ধন মিয়ার ছেলে মজিবুর রহমান(৩৭), শের আলী মিয়ার ছেলে কৃষ্ণপুর ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডের ইউ,পির বর্তমান সদস্য জাকির মিয়া (৩৬), ইদ্রিস মিয়ার ছেলে রবিউল আউয়াল (২৭), মোঃ চান মিয়ার ছেলে মিজানুর রহমান(২৫), কৃষ্ণপুর গ্রামের রহিম আলীর ছেলে রুহুল আমিন(৩২), আঃ কাদেরের ছেলে রফিকুল ইসলাম (২৮), মৃত তালেব হোসেনের ছেলে শরিফ মিয়া(৩৭), আঃ মান্নান মিয়ার ছেলে সৌরভ মিয়া(২৫), বেরি মুসলিমপুর গ্রামের মৃত সুরুজ মিয়ার ছেলে কাজল মিয়া (৩৫), মৃত আনসার আলীর ছেলে লাল মিয়া (৪০), মৃত শাবান আলীর ছেলে ও কৃষ্ণপুর ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ডের আওয়ামীলীগের সভাপতি মোঃ বিল্লাল মিয়া(৪০), জলিল মিয়ার ছেলে সেলিম মিয়া (৩৮) ও নাজিরপুর গ্রামের প্রকাশ চন্দ্র দাসের ছেলে মিঠুন দাস (৩৫)।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, খালিয়াজুরী থানার জিডি নং-৬৫৬ তারিখ ২০ জানুয়ারী মূলে বিশেষ অভিযানে ডিউটি মাদকদ্রব্য উদ্ধার ও ওয়ান্টের অভিযান পরিচালনা কালীন ২০ জানুয়ারী রাত সাড়ে এগারটার সময় উপ- সহকারী পরিদর্শক মোঃ সুলতান আহম্মেদের নেতৃত্বে সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে জাহেরপুর ফেরিঘাটে অবস্থানকাল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বেরীমুসলিমপুর গ্রামের ধৃত আসামী সেলিম মিয়ার বসতঘর কতিপয় লোকজন টাকা দিয়ে টাকার বিনিময়ে জুয়া খেলা অবস্থায় থানা পুলিশের উপস্থিতি লক্ষ্য করে সুকৌশলে পালিয়ে যাবার সময় জুয়া সামগ্রী ও নগদ ১১ হাজার ৭ শত আশি টাকা জব্দ করা হয়।
স্থানীয় কয়েকজন নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন দীর্ঘদিন ধরে স্থানীয় ইউ,পি সদস্য ও ৬নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি মোঃ বিল্লাল মিয়া এহেন জগন্য কাজ চালিয়ে আসছে। জুয়ারীদের গ্রেফতার করায় খালিয়াজুরী থানা পুলিশকে ধন্যবাদ জানিয়ে স্বস্থি প্রকাশ করে। এ বিষয়ে খালিয়াজুরী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা খোকন কুমার সাহা সত্যতা স্বীকার করেন বলেন, উপ পরিদর্শক সুলতান আহম্মেদ ও সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে জুয়ারীদেরকে গ্রেফতার করা হয়। তিনি আরও জানান,১৮৬৭ সালের প্রকাশ্য বঙ্গীয় জুয়া আইনের ৩/৪ ধারায় নিয়মিত মামলা রুজ্বু করে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়।