বহিষ্কারের পর ফেরত আনাআওয়ামী লীগের দলীয় সূত্র বলছে, দলের গঠনতন্ত্র অনুসারে দলীয় প্রার্থী মনোনয়ন দেওয়ার পর কেউ এর বিরোধিতা করে নিজে নির্বাচনে অংশ নিলে বা অন্য কারও পক্ষে ভোট করলে তাঁকে দল থেকে সরাসরি বহিষ্কার করতে হবে। ২০১৫ সালের পর সব ধরনের নির্বাচনে দলের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়া নেতাদের বহিষ্কার করা হয়েছে। তবে এবার জাতীয় নির্বাচনে দল সিদ্ধান্ত নিয়েই স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার সুযোগ দিয়েছে। ফলে গঠনতন্ত্রের এই ধারার প্রয়োগ করা হয়নি।
আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির একজন দায়িত্বশীল নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে প্রথম আলোকে বলেন, স্থানীয় সরকার নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীর বিরোধিতাকারীদের বহিষ্কার করে দেখা গেছে, তৃণমূলের নেতৃত্বই আর থাকে না। পরে তাঁদের ফিরিয়ে আনতে হয়েছে। গাজীপুরের সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলমকে দুবার বহিষ্কার করে প্রতিবারই ফিরিয়ে আনা হয়েছে। ফলে বহিষ্কার করার বিষয়টি বাস্তবায়নযোগ্য নয়। এ জন্যই দলীয় মনোনয়ন না দেওয়ার বিষয়টি আলোচনায় এসেছে।
আরেকজন কেন্দ্রীয় নেতা বলেন, জাতীয় নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী থাকার ফলে এমনিতে তৃণমূলে বিভেদ তৈরি হয়েছে। এখন আবার দলীয় প্রতীকে উপজেলা নির্বাচন হলে বিভেদ বাড়বে। এ জন্যই দলীয় মনোনয়ন না দেওয়ার কথা বলা হচ্ছে।নির্বাচন কমিশনের হিসাবে, সর্বশেষ নির্বাচনে অতীতের যেকোনো সময়ের চেয়ে কম ভোট পড়েছে। অতীতে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ৬০ থেকে ৭০ শতাংশের মতো ভোট পড়েছে। সর্বশেষ উপজেলা নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি ছিল ৪০ দশমিক ২২ শতাংশ।
দলীয় প্রতীকে ভোটার উপস্থিতি কমদেশে উপজেলার সংখ্যা ৪৯২। সর্বশেষ ২০১৯ সালে পাঁচ ধাপে দলীয় প্রতীকে উপজেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। প্রথমবার দলীয় প্রতীকে অনুষ্ঠিত উপজেলা নির্বাচন বর্জন করে বিএনপিসহ সমমনা বিরোধী দল। নির্বাচন কমিশনের হিসাবে, সর্বশেষ নির্বাচনে অতীতের যেকোনো সময়ের চেয়ে কম ভোট পড়েছে। অতীতে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ৬০ থেকে ৭০ শতাংশের মতো ভোট পড়েছে। সর্বশেষ উপজেলা নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি ছিল ৪০ দশমিক ২২ শতাংশ।
২০১৬ সালে স্থানীয় সরকারের সবচেয়ে নিচের স্তর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পদে দলীয় প্রতীকে ভোট হয়। ওই নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিপুলসংখ্যক নেতা চেয়ারম্যান পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হন। ফেনী ও বাগেরহাটের অধিকাংশ ইউনিয়নে চেয়ারম্যান ও সদস্য পদের সব কটিতেই ভোট করতে হয়নি। ওই নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নেতাদের অনেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হলে অভ্যন্তরীণ কোন্দলে আওয়ামী লীগের শতাধিক নেতা-কর্মীর প্রাণহানি ঘটে।