আওয়ামী লীগের একজন দায়িত্বশীল কেন্দ্রীয় নেতা প্রথম আলোকে বলেন, ভোটার উপস্থিতি কম হওয়ার অন্যতম কারণ ছিল বিরোধীদের ভোট বর্জন ও দলীয় প্রতীকে নির্বাচন। তাই ভোটার উপস্থিতি বাড়াতে এবং প্রতিদ্বন্দ্বিতা সৃষ্টি করতে হলে দলীয় মনোনয়ন বাদ দিতে হবে। এতে হানাহানি ও সংঘাতও কমতে পারে।
আওয়ামী লীগের দলীয় সূত্র বলছে, স্থানীয় সরকারব্যবস্থায় দলীয় প্রতীক যুক্ত করার পেছনে একটি রাজনৈতিক লক্ষ্য ছিল। তা হচ্ছে তৃণমূল পর্যায়ে দলীয় প্রতীক ছড়িয়ে দেওয়া। পাশাপাশি সব পর্যায়ে দলীয় জনপ্রতিনিধির ব্যবস্থা চালু করা। একেবারে দলীয় প্রতীক তুলে দিতে হলে আইনের সংশোধন করতে হবে। কিন্তু আইন সংশোধনের ইচ্ছা আপাতত আওয়ামী লীগের নেই; বরং বিদ্যমান আইন বহাল রেখে দলীয় সিদ্ধান্তে মনোনয়ন না দেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ প্রথম আলোকে বলেন, উপজেলা পরিষদে চেয়ারম্যান পদে দলীয় মনোনয়ন না দেওয়ার বিষয়টি আলোচনায় এসেছে। অনেক কেন্দ্রীয় নেতা এর পক্ষে বলছেন। বিষয়টি নিয়ে দলে আনুষ্ঠানিকভাবে আলোচনা হবে। তবে দলীয় প্রধানই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন।