জানা যায়, জেলার বোয়ালমারী উপজেলার শেখর ও রুপাপাত ইউনিয়নের ১০টি গ্রামের আংশিক মানুষ মধ্যপ্রাচ্যের সঙ্গে মিল রেখে একদিন আগে পবিত্র রোজা পালন শুরু করেন। তাই অন্য এলাকার একদিন আগে ১০ গ্রামের লোকজন ঈদ উদযাপন করে থাকেন। এছাড়া আলফাডাঙ্গা সদর ইউনিয়নের শুকুরহাটা, ইছাপাশাসহ ৩টি গ্রামের কিছু মানুষ একই সাথে এখানে ঈদের নামাজ আদায় করেন। একদিন আগে যারা রোজা ও ঈদ উৎসব উদযাপন করেন তাঁরা সবাই চট্টগ্রামের মির্জাখিল শরীফের মুরিদান। সহস্রাইল দায়রা শরিফ, রাখালতলি ও মাইটকুমরা মসজিদসহ তিনটি জামায়াতে ঈদের নামাজ আদায় করবেন। আগামীকাল রবিবার সকাল ৯টা থেকে শুরু হয়ে ১১টার মধ্যে পর্যায়ক্রমে জামায়াত শেষ হবে।
সহস্রাইল দায়রা শরিফের সমন্বয়কারী কাঁটাগড় গ্রামের বাসিন্দা মো. মাহিদুল হক জানান, সৌদি আরবে আগামীকাল রবিবার ঈদ হচ্ছে বিষয়টি জানতে পেরেই আমরা আগামীকাল ঈদুল ফিতর উদযাপন করার জন্য প্রস্তুতি নিয়েছি। তিনি বলেন, চট্টগ্রামের মির্জাখিল শরীফ ও সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের সাথে মিল রেখে শেখর ও রুপাপাত ইউনিয়নের কাটাগড়, সহস্রাইল, দরিসহস্রাইল, মাইটকোমড়া, রাখালতলি গঙ্গানন্দপুরসহ ১০ গ্রামের আংশিক লোকজন আমরা একদিন আগে রোজা শুরু করেছিলাম।
এ ব্যাপারে শেখর ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান মো. ইস্রাফিল মোল্লা বলেন, সৌদির সঙ্গে মিল রেখে যারা একদিন আগে রোজা রেখে ঈদের নামাজ আদায় করেন তারা চট্টগ্রামের মির্জাখিল শরীফের মুরিদান। শেখর ইউনিয়নের সহস্রাইল দায়রা শরিফ, রাখালতলি ও মাইটকুমরা মসজিদসহ তিনটি জামায়াতে ঈদের নামাজ অনুষ্ঠিত হবে।