কৃষক বাঁচলে বাঁচবে দেশ
তবে হবে আমাদের এই সোনার বাংলাদেশ
কৃষি হলো বাংলাদেশের অর্থনীতির মেরুদণ্ড। দেশের একটি বড় অংশ মানুষের জীবিকা কৃষির উপর নির্ভরশীল। কিন্তু প্রাকৃতিক দুর্যোগ, আর্থিক সমস্যা ও আধুনিক প্রযুক্তির অভাবে কৃষকরা অনেক সময় উৎপাদনে পিছিয়ে পড়ে। এই সমস্যা দূর করতে সরকার কৃষকদের জন্য বিভিন্ন সহায়তা প্রদান করে।কৃষি প্রণোদনার মূল লক্ষ্য হলো কৃষকদের উৎপাদন সক্ষমতা বৃদ্ধি করা, আধুনিক কৃষি পদ্ধতিতে আগ্রহী করে তোলা এবং অর্থনৈতিকভাবে শক্তিশালী করা। এর মাধ্যমে খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধি ও খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সম্ভব হয়।
বিনামূল্যে বা স্বল্পমূল্যে উন্নত বীজ, সার, ও কীটনাশক বিতরণ।কৃষি প্রণোদনার ফলে কৃষকদের উৎপাদন বৃদ্ধি পায়, তাদের জীবনের মান উন্নত হয় এবং দেশে খাদ্য স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জিত হয়। এছাড়া, যুব সমাজ কৃষির প্রতি আগ্রহী হয় এবং গ্রামীণ অর্থনীতিও চাঙ্গা হয়।কৃষি প্রণোদনা একটি সময়োপযোগী ও কার্যকর উদ্যোগ। সঠিকভাবে পরিচালিত হলে এটি দেশের কৃষিক্ষেত্রে বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনতে পারে। তবে এর সুষ্ঠু বাস্তবায়ন এবং সঠিক কৃষকের কাছে পৌঁছানো নিশ্চিত করা জরুরি।
তবে কৃষকরা বলেন বাংলাদেশ সরকার কৃষি ক্ষেত্রে বরাদ্দ করেন তা যদি সঠিক ব্যবহার হত তাহলে হয়ত দেশ আরও উন্নত হত।কিন্তু মাঠ পর্যায়ে যত উপ-সহকারী কর্মকর্তা নিয়োগ করেছেন আসলে তাদের কি কাজ তাও হয়তবা জানে না।মাঝে মাঝে কৃষক স্কুল করে কিছু বক্তব্য পেশ করলেই কৃষির উন্নতি সম্ভব নয়।সেটা যদি মাঠে কৃষকের সাথে সহযোগীতা না করেন তাহলে এই তত্বীয় দিক বেশী ফল দিবে না বলে মনে করেন স্থানীয় কৃষকগণ।আসলেই তত্বীয় আর ব্যবহারিক এক নয়।এ টুকু বলা যায় কৃষকের উন্নতি সোনার এই বাংলাদেশের উন্নতি।
নওগাঁ জেলার নিয়ামতপুর উপজেলার ব্যপক সংখ্যক কৃষি প্রণদনা পাচ্ছেন।উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা,নিয়ামতপুর, নওগাঁ বলেন নিয়ামতপুর উপজেলায় মোট ৬৫০০ জন এ আওতায় এসেছেন।কৃষকরা ৫ কেজী বীজ,১০ কেজী ডিএপি,১০ কেজী এমওপি সরকারী প্রণদনা পাচ্ছেন বলে কৃষি কর্মকর্তা জানিয়েছেন।কৃষি কর্মকর্তা আরও বলেন বাংলাদেশ কৃষি প্রধান দেশ আর কৃষির উপর নির্ভর করে দেশ আজ উন্নত।কৃষকদের একটু সহায়তার আলোকে বাংলাদেশ সরকার এরকম ভালো একটি উদ্যোগ নিয়েছেন যা অবশ্যই প্রশংসনীয়।