মাদারীপুরের কালকিনিতে নববর্ষ ১৪৩২ উপলক্ষে ঘুড়ি উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে। যা শুধু এই পহেলা বৈশাখকে কেন্দ্র করে করা হয়েছে। এক সময়ে ঘুড়ি উড়ানো ছিল গ্রাম বাংলার একটি ঐতিহ্যবাহি খেলা । যা আজ থেকে দেড় যুগ আগে সচারচার দেখা যেত কিন্তু যুগের পরিবর্তন ও তথ্য প্রযুক্তির সয়লাবে হারাতে বসেছে এ খেলাটি । মোবাইল, ইন্টারনেট ও বিভিন্ন ধরনের গেইমে আসক্ত হয়ে পড়েছে পুরো সমাজ যার কারনে এখন আর আগের মত মিলছে না পাড়া, মহল্লা, কিংবা নদীর কিনারায় এ ঘুড়ি উড়ানো দৃশ্য। ঘুড়ি উড়ানো প্রতিযোগিতা , ঘুড়ি কাটা কাটি করে ঘুড়ি, সুতা নাটাই এর দখল নেয়া সোনালী অতীত ছাড়া আর কিছুই নয়। কয়েক ধরনের ঘুড়ি বেশ জনপ্রিয় ছিল যেমন চিল ঘুড়ি,ভ্রমর ঘুড়ি,জেল ঘুড়ি, ইত্যাদি । বর্তমান প্রজন্মের কাছে এ সম্পর্কে কোন ধারনাই নেই। তাইতো গ্রাম বাংলার এ ঐতিহ্য যাতে হারিয়ে না যায় এবং বর্তমান প্রজন্মকে জানান দেয়ার লক্ষ্যে এ ঘুড়ি উড়ানো উৎসব আয়োজন করা হয়েছে।
সোমবার পহেলা বৈশাখ (১৪ এপ্রিল) বিকাল ৪ ঘটিকায় উপজেলার কালকিনি সৈয়দ আবুল হোসেন কলেজ মাঠে এ ঘুড়ি উৎসব অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে কলেজ লাইব্রেরীয়ান মসিউর রহমান রুলিন এর সঞ্চলনা এ অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন কালকিনি উপজেলা নির্বাহি অফিসার উত্তম কুমার দাশ।
ঘুড়ি উৎসবে আসা অংশগ্রহনকারীরা বলেন আগে গ্রাম বাংলার সব খানে ঘুড়ি উড়ানো দেখা যেত কিন্তু এখন আর দেখা যায় না । এ ঐতিহ্য যাতে টিকে থাকে এবং প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম যাতে জানতে পারে এ বিসষে । এবং তারা আশা করে আগামী দিনে আরো অংশগ্রহন কারী বাড়বে।
এ বিষয়ে কালকিনি উপজেলা নির্বাহি অফিসার উত্তম কুমার দাশ বলেন বাঙালীর ইতিহাসও প্রাচীন ঐতিহ্যর অন্যতম অনুসঙ্গ হচ্ছে ঘুড়ি উৎসব । পহেলা বৈশাখ উৎসবকে বনাট্য করতে আমরা এ আয়োজন করেছি। বর্তমান প্রজন্ম বিভিন্ন ধরনের স্যোসাল মিডিয়ার আসক্ত তাই তাদের এ প্রাচীন ঐতিহ্যর সাথে পরিচয় করিয়ে দেয়ার জন্য আমাদের এই আয়োজন।