চট্টগ্রাম মিরসরাই উপজেলায় বাংলা নববর্ষ পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে শুভ নববর্ষ ১৪৩২ বাংলা উদযাপন ও রেলী অনুষ্ঠিত হয়,১৪ এপ্রিল মিরসরাই পৌরসভায় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল মিরসরাই উপজেলা বিএনপির উদ্যোগে ১৪৩২ বাংলা শুভ নববর্ষ উপলক্ষে, এসো হে বৈশাখ, এসো, এসো,এই  স্লোগানে মুছে যাক গ্লানি,কিন্তু নতুন এই বৈশাখের আনন্দময় দিনে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষের কারণে এই পয়লা বৈশাখ অনেকের কাছে হয়ে গেল দুঃখের বৈশাখ,এই অনাকাঙ্ক্ষিত সংঘর্ষে কয়েক জন আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি, দোকানপাট মার্কেট বন্ধ, সাধারণ জনগনের ভোগান্তি, পুরো মিরসরাই থমথমে পরিস্থিতি, কিছুক্ষণের জন্য হাইওয়ে রাস্তায় গাড়ির  জ্যামের কারনে বন্ধ ছিলো গাড়ি চলাচল, তবে মিরসরাই থানার প্রশাসনিক পুলিশ ও বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সাধারণ জনগণের নিরাপত্তার স্বার্থে কঠোর অবস্থানে ছিল, তাই তেমন জটিল কোন বড় ধরনের ঘটনা ঘটেনি,কিন্তু কয়েকজন সাধারণ জনগণের সাথে কথা বলে দেখা যায় যে বাংলা নতুন বছর এই দিনে সবার জীবনে  বয়ে আসুক সুখ শান্তি আর আনন্দ, তাই এই দিনে এই অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনাগুলো ঘটুক এটা সাধারণ জনগণ সমর্থন করে না, এই ঘটনায় এক পথচারীর মোটরসাইকেলেও আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হয়,বর্তমান মিরেশ্বরাই বাসীর আশা মিরসরাইয়ে এই অসুস্থ ও উশৃংখল রাজনৈতিক পরিস্থিতি তারা আর দেখতে চায় না, সাধারণ জনগণ আর আতঙ্কে থাকতে চায় না,শুধুমাত্র রাজনৈতিক প্রতিহিংসা আর আধিপত্য বিস্তার কে কেন্দ্র করে ঐ সমস্ত অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা গুলি প্রতিনিয়তই ঘটছে, দেশের কোন জনগণই মারামারি খুন চাঁদাবাজি রাজনীতি চায়না,এই বিষয়ে মিরসরাই থানার দায়িত্ববান ও সুনামধন্য ওসি, আতিকুর রহমান এর সাথে কথা বল্লে তিনি বলেন,আইনের উদ্দে কেউ নয় মিরসরাই কোন দুর্ঘটনা ঘটুক সেটা আমরা ও চাই না, আমরা সাধারণ জনগণের স্বার্থে সবসময় আছি এবং থাকব, এবং আজকের এই অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনাকে কেন্দ্র করে যাতে আর কোন ধরনের  দুর্ঘটনা না  ঘটে সেজন্য প্রশাসন খুবই শক্ত অবস্থানে আছে,কেউ যদি কোন প্রকার আইন অমান্য করে তাহলে সে যে গ্রুপেই হোক তাকে আইনের আওতায় আনা হবে,আমরা সব সময় এলাকার শান্তি-শৃংখলা রক্ষার স্বার্থে আছি, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীও আছেন।