জুলাই-আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানের সময় পুলিশের লুট হওয়া প্রায় দেড় হাজার আগ্নেয়াস্ত্র ও আড়াই লাখের বেশি গোলাবারুদ এখনও উদ্ধার হয়নি। এসব অস্ত্র ব্যবহৃত হচ্ছে বিভিন্ন অপকর্মে। পুলিশ জানিয়েছে, লুট হওয়া অস্ত্রের ৭৬ ভাগ উদ্ধার করা হয়েছে। সমাজ বিজ্ঞানীরা বলছেন, নির্বাচনের আগে সহিংসতায় এসব অস্ত্র ব্যবহারের আশঙ্কা রয়েছে। ছাত্র জনতার অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে গত বছরের ৫ আগস্ট স্বৈরাচার শেখ হাসিনা সরকারের পতন হয়। এরপর রাজধানীসহ সারাদেশে ৪৬০টি থানায় হামলার ঘটনা ঘটে। নানান স্থাপনা থেকে লুট হয় ৫ হাজার ৭৫০টি আগ্নেয়াস্ত্র। গোলাবারুদ লুট হয়েছে ৬ লাখ ৫১ হাজার ৮২৬ রাউন্ড। গত বছরের ৩০ নভেম্বর মুন্সিগঞ্জে ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ের সার্ভিস লেন থেকে শাহিদা আক্তারের গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। ওই ঘটনায় শাহিদার কথিত বন্ধু তন্ময় জানিয়েছিল, ঢাকার ওয়ারী থানা থেকে লুট করা পিস্তল দিয়ে শাহিদাকে গুলি করেন তিনি। পুলিশ সদর দপ্তরের তথ্য বলছে, গত ৯ এপ্রিল পর্যন্ত ৪ হাজার ৩৭৩টি আগ্নেয়াস্ত্র ও ৩ লাখ ৮৮ হাজার ৪৫৬ রাউন্ড গোলাবারুদ উদ্ধার হয়েছে। তবে এখনও ১ হাজার ৩৭৭টি আগ্নেয়াস্ত্র ও ২ লাখ ৬৩ হাজার ৩৭০ রাউন্ড গোলাবারুদ উদ্ধার করা যায়নি। পুলিশ সদরদপ্তরের এআইজি (মিডিয়া) ইনামুল হক সাগর জানান, লুট হওয়া অস্ত্রগুলো কারও হাতে গেল অপব্যবহারের সুযোগ রয়েছে। সেজন্য উদ্ধার অভিযান চলমান রয়েছে। যতদিন পর্যন্ত অস্ত্রগুলো উদ্ধার হচ্ছে না ততদিন বিশেষ অভিযান চলবে। লুট হওয়া অস্ত্র সমাজের জন্য মারাত্মক ঝুঁকি। অস্ত্র উদ্ধারে বিশেষ গুরুত্ব না দিলে জননিরাপত্তা, সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় শৃঙ্খলা হুমকির মুখে পড়বে বলে মনে করেন সমাজ বিজ্ঞানী মো. মাহবুব কায়সার।