খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলার মহালছড়ি উপজেলাসহ পুরো কাপ্তাই হ্রদের সমগ্র এলাকায় আগামী ০১ মে ২০২৫ তারিখ থেকে পরবর্তী তিন মাসের জন্য হ্রদের সব ধরণের মাছ আহরণ করা বা শিকার করা, বাজারজাত করণ, মাছ শুকিয়ে শুটকি করে বিক্রয় করাসহ হ্রদের এলাকার মাছ ও শুটকি পরিবহণের উপর সরকারীভাবে নিষেধাজ্ঞা জারী করা হয়েছে। কাপ্তাই হ্রদে কার্প জাতীয় মাছের প্রাকৃতিক প্রজনন নিশ্চিতকরণ, পোনা মাছের সুস্থ বৃদ্ধি ও মৎস্য সম্পদবৃদ্ধি করণ, হ্রদের প্রাকৃতিক পরিবেশের সৌন্দর্যের উন্নয়ন ও মৎস্য সম্পদের উন্নয়নের জন্য প্রতি বছর মাছের ডিম ছাড়ার মৌসুমে সরকারীভাবে এই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়ে থাকে। নিষেধাজ্ঞার আওতায় মহালছড়িসহ রাঙামাটির কাপ্তাই হ্রদ এলাকা হতে সব ধরণের মাছ আহরণ, সংরক্ষণ শুটকি করে বাজারজাতকরণ ও শুটকি এবং সব ধরনের মাছ পরিবহণের উপর সম্পূর্ণরূপে নিষেধাজ্ঞা জারী তিন মাসব্যাপী বলবৎ থাকবে বলে জানিয়েছে মৎস্য অধিদপ্তর। কাপ্তাই হ্রদ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি ও রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসক মো: হাবিবুল্লার সভাপতিত্বে গত ১৬ এপ্রিল রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসন সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত এক সভায় এই নিষেধাজ্ঞা আরোপের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশনের মহালছড়ি উপকেন্দ্রের উপকেন্দ্র প্রধান নসরুল্লাহ আহমেদ জানান , প্রতি বছরের ন্যায় এ বছরও আগামী ০১ মে থেকে পরবর্তী ০৩ মাস পর্যন্ত কাপ্তাই হ্রদের সমগ্র এলাকায় মৎস্য আহরণ , মৎস্য শিকার, মৎস্যকে শুকিয়ে শুটকি করে সংরক্ষণ, বাজারজাতকরণ ও পরিবহণ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। কাপ্তাই হ্রদে মৎস্য সম্পদের বৃদ্ধি এবং মহালছড়ির অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নের জন্য কাপ্তাই হ্রদে মাছ ধরা নিষেধাজ্ঞাকালীন অসাধু জেলে, ব্যবসায়ী মাছ পাচারকারীরা যাতে অবৈধভাবে মৎস্য আহরণ, সংরক্ষণ, বাজারজাতকরণ ও পরিবহণ করতে না পারে সে ব্যাপারে তিনি সকলের সহযোগীতা কামনা করেছেন। মাছ ধরা নিষেধাজ্ঞাকালীন নিয়মিতভাবে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হবে বলেও তিনি জানান। এই আদেশ অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর আইননানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও তিনি জানান। এ সময় মহালচড়ির নিবন্ধিত জেলেদের ভিজিএফ কার্ডের মাধ্যমে খাদ্য সহায়তা প্রদান করা হবে ।তিনি আরও বলেন নিষেধাজ্ঞাকালীন মহালছড়িতে সকল প্রকার বরফকল বন্ধ থাকবে বলে তিনি নিশ্চিত করেন। এক্ষেত্রেও নিষেধাজ্ঞা অমান্যকারীর বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সকলকে সতর্কতা অবলম্বন করতে অনুরোধ করেন।