কুড়িগ্রাম জেলাধীন নবগঠিত কচাকাটা থানার বল্লভেরখাষ ইউনিয়নের গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি গ্রাম নদী গর্ভে বিলীন হওয়ার পথে। বাস্তবে দেখা যায় ইউনিয়ন টির বুকচিরে বয়ে চলা ব্রহ্মপুত্র নদীর বিশাল এক জনগোষ্ঠীর দুঃখের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তীরে অবস্থিত রঘুরভিটা , মাঝিপাড়া, ইসলামপুর,রামদত্ত সহ বেশ কয়েকটি গ্রাম নদী গর্ভে। বিলীন হওয়ার ঝুঁকিতে মসজিদ, মন্দির,ফসলি জমি সহ পুরোনো বাড়ি ঘর।ফলে চরম দুর্দশায় দিনাপাত করছেন ঐসব গ্রামের স্থানীয় লোকজন।
কয়েক বছরের কয়েক দফায় নদী ভাঙ্গন রোধে দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে মানববন্ধন করে আসছেন স্থানীয়রা। কিন্তু সেরকম পদক্ষেপ গ্রহণে বিলম্ব হওয়ায় শনিবার স্থানীয় জনগণ জোড়ালো দাবি নিয়ে আবারো করেন মানববন্ধন।
মানববন্ধনে স্থানীয়রা জানান, প্রতিবছর বর্ষা মৌসুমে নদী ভাঙ্গনের ফলে তারা সহায় সম্বল হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে গেছেন।রঘুর ভিটার দক্ষিণে অবস্থিত প্রাচীন মসজিদ, মন্দির, মক্তব ঘর, ফসলি জমি সহ বসত বাড়ি নদী গর্ভে বিলীন হওয়ার পর নতুন করে বাঁচার স্বপ্ন নিয়ে পুনরায় নির্মিত এসব বিলীন হওয়ার আশংকা রয়েছে। স্থানীয়দের এই মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির অন্যতম সদস্য এবং কুড়িগ্রাম এক আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আলহাজ্ব সাইফুর রহমান রানা, উপজেলা যুবদলের সভাপতি আতিকুর রহমান লেবু, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কচাকাটা থানা শাখার আমীর মাওলানা মোঃ এনামুল হক, কেদার ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোঃ আনিছুর রহমান তোলা ব্যাপারী, সাধারণ সম্পাদক আঃ সালাম, বল্লভেরখাষ ইউনিয় বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মাহাতাব উদ্দিন, জামায়াতে ইসলামীর মাওলানা মোঃ হাবিবুর রহমান, সাবেক চেয়ারম্যান মোঃ আকমল হোসেন প্রমুখ।
স্থানীয়দের সাথে একাত্মতা ঘোষণা করে সাবেক সংসদ সাইফুর রহমান রানা বলেন, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে অতি শীঘ্রই এই সমস্যা সমাধানের ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। স্থানীয়দের দাবি, নদী গর্ভে বিলীন হওয়া ঘরবাড়ি ও ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর পুনর্বাসনের জন্য সরকারের বিশেষ বরাদ্দ যেন দেয়া হয়।