গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলায় প্রেমের টানে ভাগ্নের হাত ধরে সন্তানসহ উধাও হয়েছেন এক গৃহবধূ। ঘটনাটি এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে শুরু করে গ্রামের চায়ের দোকান—সর্বত্র এ ঘটনা এখন আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সাদুল্লাপুর উপজেলার ধাপেরহাট ইউনিয়নের আলীনগর গ্রামের বাসিন্দা হারুন অর রশিদ শাহিনের (৩২) স্ত্রী শাপলা বেগম (২২) দীর্ঘদিন ধরে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন তারই আপন ভাগ্নে, কলেজপড়ুয়া আরাফাত প্রামাণিক (২০)-এর সঙ্গে।
আরাফাত প্রামাণিক পলাশবাড়ী উপজেলার মহদীপুর ইউনিয়নের তাঁতীপাড়া গ্রামের রেজা প্রামাণিকের ছেলে এবং স্থানীয় একটি কলেজের অনার্স প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী।
জানা যায়, ২০২০ সালের ডিসেম্বর মাসে হারুন অর রশিদ ও শাপলার বিয়ে হয়। তাদের সংসারে তিন বছর বয়সী একটি কন্যাসন্তান রয়েছে। স্বামী কাজের জন্য দীর্ঘ সময় বাড়ির বাইরে থাকায় আরাফাতের সঙ্গে শাপলার সম্পর্ক গড়ে ওঠে। মাঝে মধ্যেই আরাফাত মামার বাড়িতে যাতায়াত করতেন। ধীরে ধীরে তাদের মধ্যে গোপন প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে।
গত ৮ এপ্রিল, শাপলা বেগম তার শিশু কন্যাকে নিয়ে ঘরে রাখা গচ্ছিত টাকা ও স্বর্ণালংকারসহ প্রেমিক ভাগ্নে আরাফাতের সঙ্গে অজানার উদ্দেশে পাড়ি জমান। এ ঘটনার পরপরই এলাকাজুড়ে শুরু হয় আলোচনা-সমালোচনার ঝড়। কেউ গাইছেন আঞ্চলিক সুরে—”ওই দেখা যায় সোনার ভাগিনা আইসে আমার বাড়ি রে, পাগল করলো ভাগিনা রে”—আবার কেউ ঘটনার নৈতিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে শাপলার স্বামী হারুন অর রশিদ বলেন, “আমি বাড়িতে না থাকার সুযোগে আমার স্ত্রী ঘরে থাকা টাকা, গয়নাগাটি ও মেয়েকে নিয়ে পালিয়ে গেছে। এ বিষয়ে থানায় অভিযোগ করার প্রস্তুতি চলছে।”
এদিকে ধাপেরহাট ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য জিল্লুর রহমান বলেন, “এমন একটি ঘটনা শুনেছি, তবে বিষয়টি পুরোপুরি নিশ্চিত না।”
তবে অভিযুক্ত আরাফাত প্রামাণিক ও তার পরিবারের সদস্যদের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাদের পাওয়া যায়নি।
স্থানীয় প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিরা বিষয়টি নিয়ে খোঁজখবর নিচ্ছেন। এলাকাবাসীও দ্রুত আইনগত পদক্ষেপের দাবি জানিয়েছেন।