গত ৩ এপ্রিল রাতে নগরীর মাসদাইর এলাকার বোয়ালিয়া খাল থেকে আফিফ পাঠান রকি নামের এক যুবকে গ্রেফতার করে নিয়ে যায় ফতুল্লা থানার এসআই বাশার। ঈদের ছুটি থাকায় সেই গ্রেফতারকৃত যুবক রকিকে ২ দিন থানায় লকাপে রেখে পরে কোর্টে চালান করেন এসআই বাশার। গত ৮ই মার্চ দুপুরে ফতুল্লার মাসদাইর এলাকায় মেহেনাজ পারভিনের নিজ সম্পতিতে বাড়ি নির্মাণের কাজ করার সময় ঐ এলাকার নজরুল নামের এক ব্যাক্তি দলবল নিয়ে এসে তাদের কাজে বাধা দেয় এবং ১০ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করে। পরে মেহেনাজ পারভিন ও তার স্বামী মুনয়ার মুরসালীন তাদের চাঁদা দিতে অনিহা প্রকাশ করলে ঘটে বিপত্তি । নজরুল তার দবল নিয়ে হামলা করে তাদের উপর। এই ঘটনার পরে মেহেনাজ পারভিন ফতুল্লা থানায় নিজে বাদি হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন। তবে,ঘটনাক্রমে এই মামলায় আফিফ পাঠান রকি ৪নম্বর আসামী হয়ে যান। গত ৩ এপ্রিল রাতে এই মামলার ভিত্তিতে আফিফ পাঠান রকিকে গ্রেফতার করে নিয়ে আসে ফতুল্লা থানার এসআই বাশার। গ্রেফতারের পরে আসামীকে গ্রেফতার করেছে এমন খবর দিতে মামলার বাদি মেহেনাজ পারভিনকে কল দেয় এসআই বাশার। তার কল পেয়ে বাদি মেহেনাজ পারভিন আসামীর নাম জানতে চাইলে বাশার জানায় রকি নামের এক যুবকে গ্রেফতার করেছে তিনি। তাৎক্ষনিক বাদী এসআই বাশারকে বলেন এই আসামী আমার মামলার না হয়তো ওর নামটা ভূলে দেওয়া হয়েগেছে আপনি ওরে ছেড়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করেন। এসআই বাশার বাদীর কথা কানে না নিয়ে রকিকে কোর্টে চালান করে দেয়। এর পরে দির্ঘ ১৩ দিন কারাভোগের পরে গত ১৭ এপ্রিল জামিনে মুক্ত হয়। এই বিষয়ে কথা বলতে মামলার বাদী মেহেনাজ পারভিনকে মুঠোফোন করলে তিনি জানায়, এসআই বাশার আমাকে আসামীর নাম জানানোর সাথে,সাথেই আমি তাকে বলেছি রকি নামের কেউ আমাদের উপর হামলার সাথে জড়িত নয়। আমি তাকে বলেছিলাম যেন রকিকে ছেড়ে দেয়। পরে তিনি আমার ফোনে ধরেনি তাকে কল করলে । আমি তখন তাকে আরও বলি যদি রকিকে চালান করেন আমরা ওর হয়ে জবানবন্ধি দেই যে রকি আমাদের এই মামলার আসামী না তবে তিনি এই বিষয়েও আমাকে বাধা দেয়। এই বিষয়ে জানতে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই বাশারকে কল করে এই সকল বিষয় জানতে চাইলে তিনি এইসব বিষয়ে ফোনে কথা বলবেন না বলে সাফ জানিয়ে দেয় প্রতিবেদককে। ভুক্তভোগী যুবক রকি বলেন,বিনা অপরাধে আমার জীবন থেকে ১৩ টা দিন চলে গেলো। আমার পরিবার ও আমি এখন এলাকার মানুষের কাছে মুখ দেখাতে পারিনা অপরাধ না করেও এখন আমি অপরাধী। আমি নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার মহোদয়ের কাছে আকুল আবেদন জানাচ্ছি তিনি যেন এই বিষয়ে সুষ্ঠ তদন্ত করেন এবং আমার সাথে ঘটে যাওয়া ঘটনার বিচার করেন।