স্থানীয়রা বলছেন, এটি শুধু মাত্র একটি “দুষ্টামি” নয়, বরং স্কুলের পরিবেশ, শৃঙ্খলা এবং ছাত্রীদের মানসিক নিরাপত্তার ওপর সরাসরি আঘাত।
একজন অভিভাবক ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “আমরা সন্তানদের স্কুলে পাঠাই শেখার জন্য, কিন্তু যদি ওখানেই এমন পরিবেশ থাকে, তাহলে নিরাপত্তার কী নিশ্চয়তা আছে?”
স্কুলে মোবাইল ব্যবহারের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে প্রশ্ন:
বাংলাদেশের অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেই মোবাইল ফোন নিষিদ্ধ থাকলেও বাস্তবে তা মানা হয় না। শিক্ষক ও কর্তৃপক্ষের চোখ ফাঁকি দিয়ে শিক্ষার্থীরা প্রায়ই ক্লাসে বা বিরতির সময় মোবাইল ব্যবহার করে। এর ফলে যেমন পড়ালেখায় মনোযোগ কমে, তেমনি এমন অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনারও জন্ম নেয়।
বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মোবাইলের অবাধ ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ না করলে—
শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট হতে পারে
ছাত্রীদের প্রতি হয়রানি বা বিব্রতকর আচরণ বাড়তে পারে
ভাইরাল ভিডিও বা টিকটক চ্যালেঞ্জ-এর মত বিষয়গুলো স্কুলে ঢুকে পড়তে পারে
গোপনে ছবি বা ভিডিও ধারণ, যা ব্যক্তিগত নিরাপত্তার জন্য হুমকি
সাইবার বুলিং এবং মনোবিদদের ভাষায় ডিজিটাল আসক্তি
এমনকি শিশু-কিশোর অপরাধ প্রবণতা বাড়ার ঝুঁকিও তৈরি হয়
কী বলছেন সংশ্লিষ্টরা?
স্কুল কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে এখনো আনুষ্ঠানিক কোনো বিবৃতি দেয়নি। তবে বিদ্যালয়ের একজন সহকারী শিক্ষক নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, “ছাত্রছাত্রীদের ফোন আনার বিষয়টি আমরা নিরুৎসাহিত করি, কিন্তু পুরোপুরি ঠেকানো কঠিন হয়ে পড়ে অভিভাবকদের সহযোগিতা ছাড়া।”
স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকেও জানানো হয়েছে, ভিডিওর উৎস ও ঘটনার পেছনের কারণ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। দোষীদের চিহ্নিত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সমাধান কোথায়?
শিক্ষাবিদ ও সমাজ বিশ্লেষকদের মতে, শুধু নিষেধাজ্ঞা দিয়ে সমস্যা সমাধান সম্ভব নয়। দরকার—
মোবাইল ফোন স্কুলে আনতে না দেওয়ার ক্ষেত্রে অভিভাবকদের সক্রিয় ভূমিকা।
স্কুল পর্যায়ে ডিজিটাল নীতিমালা।
জরুরি প্রয়োজনে ফোন ব্যবহারের জন্য নির্ধারিত সময় ও স্থান।
এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ, নৈতিক শিক্ষা ও আচরণগত দিকনির্দেশনা।