1. admin@desh-bulletin.com : নিজস্ব প্রতিবেদক : দৈনিক প্রতিদিনের অপরাধ
সোমবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৫, ০৩:০১ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
শ্রীবরদীতে সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভবন আছে শিক্ষক নেই শিক্ষার্থী আছে ক্লাস নেই খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে বিশ্ব মেধাসম্পদ দিবস উপলক্ষ্যে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা সংস্কার কমিশনের প্রস্তাবনা বাতিলের দাবি মামুনুল হকের পাঁচবিবিতে পৌর বিএনপির আসন্ন কাউন্সিল নিয়ে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত বাবার টলি গাড়ির নিচে পড়ে ছেলের মৃত্যু ফুলবাড়ীতে ঝড়ে বটগাছ চাপা পড়ে ১০ দোকান লণ্ডভণ্ড কাঠালিয়ায় ছাত্রদলের উদ্যোগে এসএসসি পরীক্ষার্থীদের শিক্ষা উপকরন, পানি ও খাবার স্যালাইন বিতরণ ‎টাঙ্গাইলে ভাতিজার হাতে চাচা খুন,স্ত্রী-সন্তান গুরুতর আহত বাগেরহাটে বিএনপির নেতাকর্মীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন নন্দীগ্রামে পুকুরে বিষ প্রয়োগে মাছ নিধনের অভিযোগ

তেলিহাটি উচ্চ বিদ্যালয়ে ছাত্রের বিতর্কিত আচরণ, ভিডিও ভাইরাল — মোবাইল ব্যবহারে শৃঙ্খলা প্রশ্নের মুখে

ফরহাদ মৃধা
  • প্রকাশের সময় : রবিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৫
  • ৩১ বার পড়া হয়েছে
গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার তেলিহাটি উচ্চ বিদ্যালয়ে মোবাইল ফোন ব্যবহার নিয়ে নতুন করে বিতর্কের জন্ম দিয়েছে এক ভাইরাল ভিডিও। ২৫ এপ্রিল,২০২৫ রোজ শুক্রবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে এক ভিডিওতে দেখা যায়, শ্রেণিকক্ষে দুই স্কুলছাত্রীর মাঝখানে হঠাৎ করেই এক ছাত্র এসে বসে পড়ে। মেয়েরা বিব্রত ও অস্বস্তি প্রকাশ করে উঠে দাঁড়ালেও, চারপাশের কয়েকজন ছাত্র এই দৃশ্য দেখে আঙুল উঁচিয়ে উল্লাস করে। ভিডিওটি কে ধারণ করেছে, তা স্পষ্ট না হলেও এটি যে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে রেকর্ড করা, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।

স্থানীয়রা বলছেন, এটি শুধু মাত্র একটি “দুষ্টামি” নয়, বরং স্কুলের পরিবেশ, শৃঙ্খলা এবং ছাত্রীদের মানসিক নিরাপত্তার ওপর সরাসরি আঘাত।
একজন অভিভাবক ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “আমরা সন্তানদের স্কুলে পাঠাই শেখার জন্য, কিন্তু যদি ওখানেই এমন পরিবেশ থাকে, তাহলে নিরাপত্তার কী নিশ্চয়তা আছে?”

স্কুলে মোবাইল ব্যবহারের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে প্রশ্ন:

বাংলাদেশের অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেই মোবাইল ফোন নিষিদ্ধ থাকলেও বাস্তবে তা মানা হয় না। শিক্ষক ও কর্তৃপক্ষের চোখ ফাঁকি দিয়ে শিক্ষার্থীরা প্রায়ই ক্লাসে বা বিরতির সময় মোবাইল ব্যবহার করে। এর ফলে যেমন পড়ালেখায় মনোযোগ কমে, তেমনি এমন অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনারও জন্ম নেয়।

বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মোবাইলের অবাধ ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ না করলে—

শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট হতে পারে

ছাত্রীদের প্রতি হয়রানি বা বিব্রতকর আচরণ বাড়তে পারে

ভাইরাল ভিডিও বা টিকটক চ্যালেঞ্জ-এর মত বিষয়গুলো স্কুলে ঢুকে পড়তে পারে

গোপনে ছবি বা ভিডিও ধারণ, যা ব্যক্তিগত নিরাপত্তার জন্য হুমকি

সাইবার বুলিং এবং মনোবিদদের ভাষায় ডিজিটাল আসক্তি

এমনকি শিশু-কিশোর অপরাধ প্রবণতা বাড়ার ঝুঁকিও তৈরি হয়

কী বলছেন সংশ্লিষ্টরা?

স্কুল কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে এখনো আনুষ্ঠানিক কোনো বিবৃতি দেয়নি। তবে বিদ্যালয়ের একজন সহকারী শিক্ষক নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, “ছাত্রছাত্রীদের ফোন আনার বিষয়টি আমরা নিরুৎসাহিত করি, কিন্তু পুরোপুরি ঠেকানো কঠিন হয়ে পড়ে অভিভাবকদের সহযোগিতা ছাড়া।”

স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকেও জানানো হয়েছে, ভিডিওর উৎস ও ঘটনার পেছনের কারণ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। দোষীদের চিহ্নিত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সমাধান কোথায়?

শিক্ষাবিদ ও সমাজ বিশ্লেষকদের মতে, শুধু নিষেধাজ্ঞা দিয়ে সমস্যা সমাধান সম্ভব নয়। দরকার—


অভিভাবক, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের সচেতনতা বৃদ্ধি।

মোবাইল ফোন স্কুলে আনতে না দেওয়ার ক্ষেত্রে অভিভাবকদের সক্রিয় ভূমিকা।

স্কুল পর্যায়ে ডিজিটাল নীতিমালা।

জরুরি প্রয়োজনে ফোন ব্যবহারের জন্য নির্ধারিত সময় ও স্থান।

এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ, নৈতিক শিক্ষা ও আচরণগত দিকনির্দেশনা।

এ বিভাগের আরো সংবাদ
© দেশ বুলেটিন 2023 All rights reserved
Theme Customized BY ITPolly.Com