বুধবার বেলা ১১ টার দিকে কলাপাড়া প্রেসক্লাব চত্বরে এ কর্মসূচী পালন করা হয় । এতে অন্ততঃ তিন শতাধিক নারী পুরুষ অংশ গ্রহন করে।
এলাকাবাসী ওই ইজারা বাতিলের দাবীতে ইতোমধ্যে পটুয়াখালী জেলা প্রশাসক এবং কলাপাড়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) বরাবরে পৃথক দু’টি লিখিত আবেদন করেছে।
একাধিক ব্যক্তির স্বাক্ষরিত আবেদন সূত্রে জানা গেছে, কলাপাড়া উপজেলার নীলগঞ্জ ইউনিয়নের আমিরাবাদ গ্রামে গৌর গোবিন্দ সেবাশ্রম নামে হিন্দু সম্প্রদায়ের একটি মন্দির অবস্থিত। মন্দিরটি সংলগ্ন একটি সরকারী পুকুর রয়েছে। পুকুর সংলগ্ন বেশ কয়েকটি সমাধি রয়েছে। এছাড়া পুকুরের কাছেই রয়েছে অর্ধশত হিন্দু পরিবারের বসবাস।
সে হিসেবে হিন্দু নর-নারীরা ওই পুকুরের পানি গৃহস্থলী কাজ সহ নানান কাজে ব্যবহার করে আসছে।
অপরদিকে, কাছাকাছি পুকুরের পানির মধ্যে ওই পুকুরের পানি ব্যবহার উপযোগী এবং স্বচ্ছ। এটাকে ওই এলাকার মানুষ ঐতিহ্যবাহী পুকুর মনে করে। সে হিসেবে পুকুরটি কোন ভাবে ইজারার পক্ষে নয় এলাকার মানুষ।
এ ব্যাপারে মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারী নন্দ কুমার সাহা বলেন’ পুকুরটি নিজস্ব একটি পরিবেশে রয়েছে। এ পুকুর দ্বারা মানুষ উপকৃত হচ্ছে। জনস্বার্থের কথা বিবেচনা করে এটি লীজ দেয়া থেকে বিরত থাকা উচিৎ বলে তিনি উল্লেখ করেন।
ইজারা না দেয়ার দাবী জানিয়ে আমিরাবাদের অধিবাসী গৌরী রায় বলেন ‘ ছোট বেলা থেকে ওই পুকুরের পানির সাথে আমাদের আত্মার সম্পর্ক রয়েছে। এটি লীজ দেয়া উচিৎ হবে না বলে তিনি মনে করেন।
ইজারার প্রক্রিয়া বন্ধ করার পক্ষে পিন্টু মৃধা বলেন’ হিন্দু সম্প্রদায়ের অর্ধশত পরিবার ওই পুকুরের পানি রান্নায় ব্যবহার করে, সর্বোপরি পুকুর ছাড়া এক রকম অচল তাদের জীবন। পুকুরটি আগে কখনো যেহেতু ইজারা দেয়া হয়নি,ভবিষ্যতেও ইজারা না দিতে প্রশাসনের কাছে অনুরোধ জানান তিনি।