রংপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর ৩৭তম বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ২৭ জানুয়ারী দুপুরে মিঠাপুকুর উপজেলার শঠিবাড়ি¯’ রংপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর প্রধান কার্যালয়ে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। রংপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর বোর্ড সভাপতি মো. নুরুল ইসলাম
প্রামানিক লালনের সভাপতিত্বে এ সভায় রংপুর-৫ (মিঠাপুকুর) আসনের সংসদ সদস্য জাকির হোসেন সরকার, রংপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর সিনিয়র জেনারেল ম্যানেজার প্রকৌশলী হরেন্দ্রনাথ বর্মণ বক্তব্য রাখেন এবং কোষাধ্যক্ষ শ্যামল কুমার বর্মন সমিতির আয়-ব্যয়ের প্রতিবেদন পেশ করেন।
এসময় সমিতির রংপুর জোনের নির্বাহী প্রকৌশলী বিজয় কান্ত পাল বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের চেয়ারম্যানের বাণী পাঠ করেন। সভায় সংসদ সদস্য জাকির হোসেন সরকার বলেন, বিদ্যুৎ নিয়ে যারা কাজ করেন তাদের আলোর ফেরিওয়ালা বলা হয়। গ্রামই এ দেশের জাতীয় উন্নয়নের প্রাণকেন্দ্র। সমবায় ভিত্তিক ব্যবস্থাপনা, গণতান্ত্রিক প্রতিনিধিত্ব, গ্রামীণ শিল্পায়ন, কৃষি উন্নয়ন, বেকার সমস্যার সমাধান ও গ্রাহক সদস্যগণের অংশগ্রহণের মাধ্যমে লাভ নয়, লোকসান নয়্য়ঁড়ঃ; ভিত্তিতে পরিচালিত সমিতি একটি বিতরণ ব্যবস্থা। তিনি প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘোষিত গ্রাম হবে শহর এবং শতভাগ বিদ্যুতায়িত করনের কর্মসুচী সফল করার জন্য সকল কর্মকর্তা-কর্মচারী ও সদস্যগনকে আন্তরিকতার সাথে কাজ করার আহব্বান জানান। পাশাপাশি বিদ্যুৎ চুরিসহসব রকম অনিয়ম দুর্নীতি প্রতিরোধে সকলকে সতর্ক থাকার পাশাপাশি গ্রাহক হয়রানী যাতে না হয় তারজন্য একযোগে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।
সিনিয়র জেনারেল ম্যানেজার হরেন্দ্রনাথ বলেন, উন্নত সেবা প্রদানের লক্ষ্যে সমিতির সদর দপ্তর ছাড়াও সমিতির ভৌগোলিক এলাকায় ৪ টি জোনাল অফিস ৩ টি সাব-জোনাল অফিস এবং ২৮ টি অভিযোগ কেন্দ্রস্থাপন সহ ১৩ টি উপকেন্দ্রের মোট ক্ষমতা ১৬৫ এমভিএ তে উন্নীত করা হয়েছে। বর্তমানে গ্রাহক সেবায় ৬৭৬ জন কর্মকর্তা ও কর্মচারী নিয়োজিত রয়েছেন। সেবাদান সম্পর্কিত সিটিজেন চার্টার স্থাপন করা হয়েছে, অনলাইন পদ্ধতিতে বিদ্যুৎ সংযোগ প্রদান এবং বিকাশ, রকেট, নগদ এর মাধ্যমে বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করা যা”েছ। আগামী দিনে গ্রাহক সদস্যগণ ঘরে বসে যাবতীয় সেবা গ্রহণের সুযোগ সৃষ্টির লক্ষ্যে বাপবিবোর্ড এবং সমিতির আইটি বিভাগ যৌথভাবে কাজ করে যা”েছ। রংপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ বিগত ১৯৮৪ সালে বাণিজ্যিকভাবে বিদ্যুৎ বিতরণ শুরু করেছে। আনুষ্ঠানিকভাবে বিদ্যুৎ বিতরণ শুরু করার পর ডিসেম্বর ২০২৩ পর্যন্ত ৯,২৬৬ কিলোমিটার লাইন নির্মাণ ও বিদ্যুতায়ন করে ১,১০৬টি গ্রাম বিদ্যুতানের মাধ্যমে বিভিন্ন শ্রেণীর ৫,৮৬,৬০৬ জন গ্রাহককে বিদ্যুৎ সংযোগ প্রদান করা হয়েছে। শেষে সময়মত বিদ্যুৎ বিল পরিশোধকারী আবাসিক, বানিজ্যিক, সেচ, শিল্পও দাতব্য প্রতিষ্ঠানের ৪০জন গ্রাহককে লটারীর মাধ্যমে পুরষ্কার প্রদান করা
হয়।