ভোলার চরফ্যাশনের দক্ষিণ আইচা গ্রামের শাহে আলমের ছেলে আরিফ। যুব দলের নাম ভাঙ্গিয়ে সন্ত্রাসী, চাদাঁবাজী, দখলবাজীতে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে।
জানাগেছে, আরিফ বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে যুবলীগের নাম ভাঙ্গিয়ে সন্ত্রাসী, চাদাঁবাজী দখলবাজী করতো। আওয়ামীলীগ আমলে আরিফ সরকারী জমি দখল করে অবৈধভাবে স্বমিল ব্যবসা দিয়ে সরকারী বনের গাছ উজার করেন এবং একটি অবৈধ আইচক্রীম ফ্যাক্টরী দেন। ওই আইচক্রীম খেয়ে এলকার কোমলমতি শিশুরা পেটের পীড়াসহ নানা রোগে আক্রান্ত হন। এছাড়া এলাকায় চাদাঁবাজী, দখলবাজী ও সন্ত্রাসী কর্মকান্ড পরিচালনা করে আসছে। গত বছরের ৫ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পর আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হলে আরিফও ভোল পাল্টে ফেলেন। হয়ে যান যুবদল ক্যাডার। বর্তমানে আরিফ যুব দলের নাম ভাঙ্গিয়ে সন্ত্রাসী, চাদাঁবাজী, দখলবাজীতে বেপরোয়া হয়ে উঠেন। স্থানীয়রা জানান, ৫ আগস্টের পর আরিফ অসংখ্য মানুষের জমি দখল, চাঁদাবাজী ও সন্ত্রাসী কাজে সম্পৃক্ত হয়েছে। আরিফ গত নভেম্বর মাসে চর কচ্ছপিয়া গ্রামের কৃষক মফিজ হাওলাদারের ধানের গোলা থেকে ধান লুট করে নিয়ে যায়। করিম পাড়া গ্রামের হাছনাইন দক্ষিণ আইচা গ্রামের ফরুকের কাছ থেকে একটি স্ব-মিল ভাড়া নিয়ে চালাচ্ছে। আরিফ সম্প্রতি হাছনাইনের কাছে চাঁদাদাবী করে আসছে দাবীকৃত চাঁদা না দিলে স্ব-মিল দখলের নেয়ার হুমকি দিচ্ছে। এ দিকে গত ০৪ এপ্রিল রাতে আরিফ এক দল সন্ত্রাসী নিয়ে সাংবাদিক এ আর এম মামুনের জমি দখল করতে বেকু দিয়ে মাটি কেটে জমির ক্ষতি সাধন করে, পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে আরিফ পালিয়ে যায়।
আজ শনিবার (২৬ এপ্রিল) সকালে আরিফসহ এক দল সন্ত্রাসী ফের সাংবাদিক এ আর এম মামুনের জমি দখল করতে যায়। এসময় এ আর এম মামুনের ভাই মাহফুজুর রহমান মমিন বাধা দিলে তাকে বিভিন্ন প্রকার হুমকী দেয়। পরে মাহফুজুর রহমান মমিন দক্ষিণ আইচা থানায় লিখিত অভিযোগ দাখিল করলে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে দখলের চেষ্টার কাজ বন্ধ করে দেন। এ সময় আরিফ পুলিশের উপস্থিতি পেয়ে পালিয়ে যায়।
স্থানীয়রা জানান, আরিফের দখল, চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে স্থানীয় শান্তিপ্রিয় মানুষজন তটস্থ আছেন। আরিফকে গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির আওতায় আনার জন্য এলাকাবাসী দাবী জানিয়েছেন।
দক্ষিণ আইচা থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ এরশাদুল হক ভূইয়া ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন , অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।