উল্ল্যেখ্যযে, জমির ভাগা-ভাগি সংক্রান্ত বিরোধকে কেন্দ্র করে গত ৫ এপ্রিল শনিবার রাত ১১টার দিকে উপজেলার ইলুহার ইউনিয়নের মলুহার গ্রামে দুই ভাই শাহজাহান খান ও সুলতান হোসেন খানের মধ্যে বাকবিতন্ডার সময় শাহজাহান খানের ছেলে রুবেল খান চাচা সুলতান হোসেন খানকে শাবল দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর আহত করেন। এ সময় শাহজাহান খান ও তার ছেলে রুবেলের স্ত্রী লামিয়াসহ অপর আসামীরা কোদাল, পাইপ দিয়ে দিয়ে সুলতান খান’কে আঘাত করেন। ওইদিন রাতেই মুমুর্ষ অবস্থায় সুলতান হোসেনকে উদ্ধার করে প্রথমে বানারীপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাকে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়।সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে মুমুর্ষ অবস্থায় তাকে ঢাকা’র পিজি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এ ঘটনায় ৬ এপ্রিল রবিবার সুলতান হোসেন খানের বোন নাসিমা বেগম বাদী হয়ে বানারীপাড়া থানায় মারধর ও হত্যা চেষ্টার অভিযোগে বড় ভাই শাহজাহান খান,ভাতিজা রুবেল খান, ভাতিজার স্ত্রী লামিয়া আক্তার, বোন নিলুফা বেগম ও মারুফা বেগম, ভগ্নিপতি মোশারফ হোসেন এবং শাহ আলমকে নির্দিষ্ট ও কয়েকজনকে অজ্ঞাতনামা আসামী করে বানারীপাড়া থানায় মামলা দায়ের করেন।
ওই দিন (৬ এপ্রিল) মামলার এজাহারভুক্ত আসামী শাহজাহান খান, রুবেল খান ও লামিয়াকে গ্রেফতার করে বরিশাল জেলহাজতে পাঠায় বানারীপাড়া থানা পুলিশ।পরে রুবেলের স্ত্রী লামিয়া আক্তার জামিনে বের হলেও শাহাজান খান ও তার ছেলে রুবেল খান অদ্যবধি বরিশাল জেলহাজতে রয়েছেন।
এ ব্যাপারে বানারীপাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ মো: মোস্তফা জানান, গুরুতর আহত সুলতান হোসেন খান ঢাকা’য় চিকিৎসাধিন অবস্থায় নিহতের ঘটনায় পূর্বে দায়েরকৃত মামলাটিকে হত্যা মামলায় রূপান্তর করে দ্রুত বাকী আসামীদের গ্রেফতার ও বিচারের জন্য প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
ছবির ক্যাপশন:বানারীপাড়ায় ভাতিজার শাবলের আঘাতে নিহত চাচা সুলতান খান।