বগুড়ার মহাস্থানগড়ে প্রত্নতাত্ত্বিক খোঁড়াখুঁড়িতে পাওয়া গেছে ১৩ শ বছর পুরোনো কূপ সহ আড়াই হাজার বছরের প্রাচীন নিদর্শন। বাংলাদেশ ও ফ্রান্স সরকার যৌথভাবে এই খোঁড়ার কাজ পরিচালনা করে। মহাস্থানগড়ের বৈরাগীর ভিটার ৫টি জায়গায় খোঁড়ার সময় মোট ৮টি কূপের সন্ধান পাওয়া গেছে।
ধারণা করা হচ্ছে এই এলাকাটি কোন বাণিজ্যিক কেন্দ্র অথবা খাদ্য গুদামঘর ছিল। সেখানে বেশ কিছু মৃৎপাত্র, মৃৎপাত্রের ভগ্নাংশ, মাটির বিশালাকার একটি মটকা পাওয়া গেছে। মৃৎপাত্রগুলো উজ্জ্বল চকচকে কালো মসৃণ, যা মৌর্য আমলের বলে মনে করা হয়। কূপগুলোর মধ্যে একটি কূপ একেবারেই ব্যতিক্রম। কূপটি প্রায় ৬ফুট গভীর এবং ৪৬ সারি ইটের গাঁথুনি বিশিষ্ট কূপ। এছাড়া অন্যগুলো পাতকূপ। প্রত্নবিদদের মতে, ইটের গাঁথুনি বিশিষ্ট কূপটি সপ্তম থেকে অষ্টম শতাব্দীর অর্থাৎ পাল আমলের হতে পারে এবং এই কূপ থেকে মানুষেরা খাবার পানি সংগ্রহ করত। এগুলোর মাধ্যমে আমরা বুঝতে পারি, আমাদেরও প্রাচীন নগর সভ্যতার ইতিহাস রয়েছে।