বাংলাদেশের জাতীয় ফুল শাপলা,একথা আমরা সবাই জানি।কিন্তু বর্তমান সময়ের শিশু কিশোররা শাপলা ফুল সম্পর্কে তেমন কিছুই জানেনা।কারণ আমাদের জাতীয় ফুল শাপলা হলেও এর সংরক্ষণ ও উৎপাদনের ব্যাপারে ব্যক্তিগত ও জাতীয় পর্যায়ে কোন উদ্যোগ না নেয়ায় আজ বাঙালির চিরচেনা জাতীয় ঐতিহ্য শাপলা ফুল প্রায় বিলুপ্তির পথে।বহুদিন আগে বাংলাদেশের গ্রামগন্জের খাল-বিলে এমনকি রাজধানীর আশেপাশে ছোট ছোট বিলে ফুটে থাকতে দেখা যেত এই জাতীয় ফুল শাপলা। কালের বিবর্তনে এবং সংরক্ষণের অভাবে আজ আমাদের এই ঐতিহ্য বাহি জাতীয় ফুল শাপলা প্রায় বিলুপ্তির পথে।আজ থেকে প্রায় ৩০ থেকে ৩৫ বছর আগে অর্থাৎ ৮০বা ৯০এর দশকে বাংলাদেশের জাতীয় ফুল শাপলা খুবই জনপ্রিয় ফুল হিসেবে সবাই এটাকে গ্রহণ করত,কিন্তু আমাদের বর্তমান প্রজন্ম এই ফুলের ব্যাপারে কিছুই জানেনা। কারণ হিসাবে বলা যায়,গত ২০ বছর যাবত বাংলাদেশের স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা সহ বিশ্ব বিদ্যালয়গুলোতে যে বই পড়ানো হত তাতে জাতীয় ফুল, ফল,ও জাতীয় প্রানী সম্পর্কে কোন অধ্যায় সংযোজন ছিল না।ফলে তরুণ প্রজন্ম এ সম্পর্কে অজানায় থেকে গেছে।বাঙালির জাতীয় জীবনের ইতিহাস ও ঐতিহ্যকে বিলিন করে পশ্চিমা শিক্ষা সংস্কৃতিকে জোর করে চাপিয়ে দিয়ে বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্হাকে ধ্বংসের পথে ঠেলে দেয়া হয়েছে। এমনকি বাংলাদেশের কবি সাহিত্যিক ও লেখকদের লেখা ছড়া,গান,কবিতা, গল্প হামদ,নাত সহ বহু শিক্ষানীয় সাময়িকী সিলেবাস থেকে বাদ দিয়ে পাঠ্য বইয়ে সংযোগ করা হয়েছিল বিভিন্ন অপসংস্কৃতি। এমনকি শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হত কুকুরের ডাক,বিড়ালের ডাক,গরুর ডাক সহ বিভিন্ন প্রাণী ডাক ও অশ্লীল নিত্য।যাহা অত্যান্ত লজ্জা জনক। তবে বর্তমান প্রেক্ষাপটে পাঠ্যবইয়ে জাতীয় শিক্ষানীতি ২০১০ এর সিলেবাস অন্তর্ভুক্তের ফলে শিক্ষা ব্যবস্হায় কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে। তবে সরকারি ভাবে উদ্যোগ গ্রহণ করে আমাদের জাতীয় ঐতিহ্য যেমন,দোয়েল পাখি,শাপলা ফুল, কাঠাল,ও জাতীয় প্রাণী রয়েল বেঙ্গল টাইগার। এসব জাতীয় ঐতিহ্য গুলোকে বিলুপ্তির হাত থেকে বাঁচিয়ে রাখতে জরুরি পদক্ষেপ নিতে হবে।