যোগদানের তারিখ হতে তিনি তিনি কালীগনজ থানা ক্যাম্পাসের সরকারী বাসভবনে অবস্থান না করে দুই কিলো দূরে তুষভান্ডার উপজেলা অডিটরিয়ামে এর পাশে বিলাসবহুল আবাসিক হোটেল “মুসকান টাওয়ার” – এ একটানা তিনমাস সাতদিন অবস্থান করেন। এই আবাসিক হোটেলের মালিক কালীগনজ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম মোল্লার আপন ভাতিজা কালীগনজ উপজেলা যুবলীগের সদস্য সচিব ইন্জিনিয়ার মেজবাহউদ্দিন বিপ্লব এর। এই আবাসিক হোটেলের প্রতিরাত রুমরেন্ট ২০০০ টাকা। তিনমাস সাতদিন এর রুমরেন্ট ১,৯৪,০০০টাকা। একজন ওসিরমাসিক বেতন কত? আরও জানা গিয়েছে, সেলিম মালিক এর স্ত্রী ও দুই সন্তান বগুড়ায় বসবাস করে। একজন ওসির এই বিলাসী জীবন-যাপনের বিপুল অর্থের উৎস কি? সেলিম মালিক এর গ্রামের বাড়ী নীলফামারী জেলার ডিমলা থানায়। সেলিম মালিক এর নিজস্ব ফেসবুক এর বিভিন্ন পোস্ট থেকে জানা গিয়েছে ডোমার- ডিমলা আসনের পতিত আওয়ামী লীগের এম পি আফতাবউদ্দিন তার চাচা হন। ইতিপূর্বে সেলিম মালিক ২০২০ সালে জয়পুরহাটের কালাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার দায়িত্বে ছিলেন। সেলিম মালিক কালীগনজ থানায় যোগদানের পর হতে এলাকায় চুরি ঘটনা বৃদ্ধিসহ আইন – শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। খোঁজখবর নিয়ে জানা যায়, সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইমতিয়াজ কবির বদলীর পূর্ব পর্যন্ত কালীগনজ থানাার সরকারী বাসভবনেই বসবাস করেছিলেন। সেলিম মালিক এর সরকারী বাসভবনে ব্যাতীরেকে দুই কিলো দূরে বিলাসবহুল আবাসিক হোটেলে তিনমাস সাতদিন অবস্থান এনং অর্থের উৎস প্রসঙ্গে লালমনিরহাট জেলার পুলিশ সুপার তরিকুল ইসলামকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ” আমার ওসি কোথায় থাকবে এটি আপনাদেরকে বলতে হবে কেন? সংস্কার কাজ চলছিল। ওসির কি টাকা- পয়সা কিংবা বাড়ীতে জমিদারী থাকতে পারেনা? “। পূর্বের ওসি চলে যাওয়ার ১৫ দিনের মধ্যে কি এমন সংস্কার কাজ করতে হলো যে তিনমাড সাতদিন সেলিম মালিক কে দুুই কিলো দূরে বিলাসবহুল আবাসিক হোটেলে অবস্হান করতে হলো – এমন প্রশ্নের উত্তরে পুলিশ সুপার বলেন ‘ সবার রুচি কি সমান নাকি? ” বিলাসবহুল আবাসিক হোটেল মুসকান টাওয়ার এ সেলিম মালিক এর তিনমাস সাতদিন এর অবস্থানের প্রমানেরএকটি ভিডিও চিত্র সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেে৷ প্রচারিত হয়েছে। এই বিষয়ে কালীগনজ৷ থানার৷ ওসির সরকারী মোবাইল নম্বরে একাধিকববার কল করা হয়েছে, রিং বেজে চলেছে, কিন্তু কল এ্যাটেন্ড করা হয়নি।