উজানে ভারত থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে তিস্তা নদীতে হঠাৎ করে বাড়ছে পানির চাপ। পরিস্থিতি মোকাবিলায় রবিবার সকাল থেকে তিস্তা ব্যারাজের ৪৪টি গেটই খুলে দিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)। ফলে ভাটিতে বাড়ছে নদীর পানি, তলিয়ে যাচ্ছে চরাঞ্চল ও নদীতীরবর্তী নিচু এলাকা।
একইসঙ্গে টানা বৃষ্টিতে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় নদীপাড়ের মানুষজন চরম উদ্বেগ আর উৎকন্টায় দিন পার করছেন। ঈদের আগমুহূর্তেই দেখা দিতে পারে আকস্মিক বন্যা। তাই এমন আশঙ্কায় সতর্ক অবস্থানে রয়েছে পাউবো।
পাউবো’র তথ্য অনুযায়ী, রবিবার দুপুর ১২টায় লালমনিরহাটের তিস্তা ব্যারেজের ডালিয়া পয়েন্টে তিস্তার পানি রেকর্ড করা হয়েছে ৫১.৮০ মিটার, যা বিপৎসীমার মাত্র ৩৫ সেন্টিমিটার নিচে। অথচ একদিন আগেও, শনিবার বিকালে এই পানির উচ্চতা ছিল বিপৎসীমার ৮৮ সেন্টিমিটার নিচে।
ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী অমিতাভ চৌধুরী বলেন, “উজানে ভারত অংশে পাহাড়ি ঢল নামছে। এর ফলে ব্যারাজের উজানে পানির চাপ বেড়ে গেছে। চাপ সামলাতে তিস্তাব্যারেজের সবগুলো গেটই খুলে দেওয়া হয়েছে। ফলে ভাটিতে পানির প্রবাহ বাড়ছে। ফলে তিস্তার পানিতে ডুবে যাচ্ছে মাঠের ফসল।
তিস্তাপাড়ের এবং বিভিন্ন চরাঞ্চলের বাসিন্দাদের সংগে কথা বলে জানা যায়; চরে অনেকের ভুট্টা এবং ধান ঘরে তোলার কথা ছিলো কিন্তু সকালে দেখা যায় সব পানির নিছে। যদি ২-৩ দিনের মধ্যে তুলতে না পারে,তাহলে সবই পচে যাবে। অনেকের লক্ষ-লক্ষ টাকার ক্ষতি হবে। তিস্তার পানি যেভাবে বাড়ছে, ঈদের আগেই বন্যার আশংকা করা হচ্ছে।”
আর বৃষ্টি না থামলে নদীর পানি কমবে না, উল্টো বাড়বে। কেহই মাঠের ধান-ভূট্টা শুকাতে পারবে না। এরমধ্যে নদীর পানি বাড়ছে। সকলের ভয় হচ্ছে , বন্যা হইলে সব শেষ হয়ে যাবে।”
লালমনিরহাট পাউবো’র নির্বাহী প্রকৌশলী শুনীল কুমার জানান, “তিস্তার পানি এখনো বিপৎসীমার নিচে থাকলেও যেকোনো সময় তা অতিক্রম করতে পারে। ভারতের উজানে প্রবল বর্ষণ হচ্ছে। সেই পানিই তিস্তা দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করছে। আমরা তিস্তাপাড়ের মানুষজনকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছি।”