শনিবার সকালে লালমনিরহাটে তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৮.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। কনকনে এই ঠাণ্ডায় জবুথবু লালমনিরহাটের জনজীবন। জেলার বিভিন্ন স্থান ও চরাঞ্চল ঘুরে দেখা গেছে ঘন কুয়াশায় ঢেকে রয়েছে রাস্তাঘাট। আর হিমেল হাওয়া থাকায় কনকনে ঠাণ্ডায় প্রয়োজন ব্যতিত ঘর ছাড়েন অধিকাংশরা। তবে জীবিকার তাগিদে শ্রমজীবীরা শীত উপেক্ষা করে কাজের সন্ধানে বের হয়েছেন। শীতার্ত ও ছিন্নমূল মানুষ শীতের তীব্রতা থেকে বাঁচতে বাড়ির আঙিনা ও ফুটপাতসহ চায়ের দোকানের চুলায় বসে আগুন পোহাচ্ছেন।
লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলার চর শৈলমারীর বাসিন্দা বাবলু মিয়ার(৪২) সাথে টান্ডার প্রকোপ নিয়ে কথা হলে তিনি বলেন, বর্তমানে চরাঞ্চলের শ্রমজীবীদের বর্তমানে সবচেয়ে বেশি কষ্ট। কুয়াশা আর বাতাস চরাঞ্চলের বাসিন্দাদের ভোগান্তি কয়েকগুন বাড়িয়ে দেয়। চরের নিম্ন আয়ের মানুষের দুএকজন কম্বল পেলেও অধিকাংশরাই কম্বল পাননি।
একই উপজেলার কাকিনার ইসরকুলের বাসিন্দা সাজু মিয়া(৩৫) বলেন, হাড়কাঁপানো শীতের মধ্যেই শ্রমজীবীরা মাঠে কাজ করছে। অনেকেই শীত নিবারনের জন্য সাময়িক ভাবে খড়কুটো জালিয়ে আগুন পোহাচ্ছে। কিছুক্ষণ পরেই আবার কাজ শুরু করছে তারা।
জেলার সদর উপজেলার হরিণ চওড়া চরের বাসিন্দা চরের জমিতে কাজ করতে থাকা আব্দুল আউয়াল(৫৫) বলেন, এখনো কম্বল পাইনি। কাজ করার সময় হাত কাজ ঠিক মতো করছে না। আর রাতে অধিক বাতাসে চরের বাড়ি ঘরে হুহু করে বাতাস ঢোকে। এতে ঘুমটাও শান্তি হয়না।
লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ উল্লাহ বলেন, জেলার বিভিন্ন চরাঞ্চলসহ পাচ উপজেলায় এরই মধ্যে ৬০ হাজার কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। আরো ৫০ হাজার কম্বলের চাহিদা উর্ধতন কর্তৃপক্ষের নিকট পাঠানো হয়েছে।
তবে ঠান্ডায় কাহিল মানুষদের জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে বরাদ্দকৃত কম্বল যথেষ্ট নয় বলে মনে করেন জেলার সচেতন মহল। চরাঞ্চলসহ জেলার পাঁচ উপজেলার শীতার্ত অসহায়দের পাশে দাঁড়াতে সমাজের বিত্তবানদের প্রতি আহবান তাদের।