‘হয় আমাদের বাঁধ তৈরি করুন,না হয় আমাদের হত্যা করুন ’- এমন শ্লোগান সম্বলিত ব্যানার নিয়ে মানববন্ধন করেছেন পেড়িখালি ইউনিয়নের রোমজাইপুর গ্ৰামের স্থানীয়রা। আজ বুধবার পেড়িখালি ইউনিয়নের রোমজাইপুর এবং উড়াবুনিয়া গ্রামে রামপাল ঘষিয়াখালি চ্যানেলের পাড়ে আয়োজিত মানববন্ধরে বিভিন্ন শ্রেণি শত শত মানুষ অংশ নেন। রামপাল উপজেলার পেড়িখালি ইউনিয়নের রামপাল ঘষিয়াখালি চ্যানেলের তীরবর্তী কয়েকটি গ্রামে ভাঙন দেখা দেওয়ায় ভুক্তভোগীরা এ মানকবন্ধন কর্মসূচি পালন করে। সরজমিনে গিয়ে দেখা যায় উপজেলার পেড়িখালি, রোমজাইপুর ,উড়াবুনিয়া সহ প্রায় ২ কিলোমিটার নদী পাড়ের অনেক জায়গা নদীর গর্ভে বিলীন হওয়ার আশংকায় রয়েছে। গত একমাস যাবৎ এমন ভাঙনে কয়েকটি গ্রামের বাড়ি-ঘর বিলীনের পথে। রামপাল ঘষিয়াখালী চ্যানেল নদী অঞ্চলের জন্য একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ নদী। এটি মোংলা ও উত্তরবঙ্গের মধ্যে একমাত্র নদীপথের যোগাযোগ স্থাপন করেছে, যার মাধ্যমে নিয়মিত গুরুত্বপূর্ণ নৌযান চলাচল করে। এই নদীর তীরে গড়ে উঠেছে পেড়িখালী ইউনিয়নের তিনটি গ্রাম, যা এই অঞ্চলের মানুষের জীবন-জীবিকার অবিচ্ছেদ্য অংশ। নদীর ভয়াবহ ভাঙনের কারণে এই গ্রামগুলো আজ হুমকির মুখে। ইতিমধ্যে গ্রামের একটি অংশ নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে, এবং তিনটি গ্রামের একমাত্র সড়কের অধিকাংশ ধসে গেছে। এর ফলে যোগাযোগ ব্যবস্থা মারাত্মকভাবে বিঘ্নিত হচ্ছে, যা এলাকাবাসীর জীবনে চরম দুর্ভোগ নিয়ে এসেছে। গ্রামবাসীর দাবি, এই নদী ভাঙন রোধে টেকসই বাঁধ নির্মাণ ও সড়কটি মেরামত করে টেকসই করা। এলাকাবাসী বলেন বেশ কয়েকবার চেষ্টা সত্ত্বেও এ বিষয়ে কোনো কার্যকর উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। এখন এলাকাবাসীর ভোগান্তির শেষ নেই। স্থানীয়রা জানান, ভাঙন রোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া না হলে রামপাল ঘষিয়াখালি চ্যানেলের তীরবর্তী কয়েকটি গ্রাম ও বিস্তির্ণ এলাকা রামপাল নদীতে বিলীন হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। সর্বস্থরের লোকজন ভাঙনরোধে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য প্রধান উপদেষ্টাসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। বাগেরহাট জেলা উপ-সহকারী প্রকৌশলী হোসনেয়ারা জামিল সুমানা বলেন – উধ্বর্তন কর্মকর্তাদের জানানো হয়েছে। ঈদের পর ভিজিট করে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।