গ্রেপ্তার আব্দুল মতিন সরকার বগুড়া শহরের চকসূত্রাপুর চামড়াগুদাম এলাকার মৃত মজিবর রহমান সরকারের ছেলে। এছাড়াও তিনি বগুড়া শহর যুবলীগের সাবেক যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর।
গত শনিবার রাত সাড়ে ১১ টার দিকে রাজধনীর মোহাম্মদপুর বসিলা এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
ডিবির ওসি ইকবাল বাহার সংবাদমাধ্যম কে মুঠোফোনে জানান , ‘মতিন সরকারের বিরুদ্ধে ডজন খানেক হত্যা মামলা ছাড়াও অস্ত্র, মাদক আইনেও একাধিক মামলা রয়েছে। গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর নতুন করে একাধিক হত্যা মামলায় আসামি হওয়ায় তিনি আত্মগোপনে ছিলেন। জেলা ডিবির একটি টিম গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকায় রাত সাড়ে এগারো টার দিকে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে।’
তিনি আরো বলেন, ‘গ্রেপ্তার আব্দুল মতিন সরকারকে আগামীকাল আদালতে পাঠানো হবে।’
এর আগে গত ১১ মে অবৈধ সম্পদ অর্জনের দায়ে দুদকের মামলায় ১৩ বছরের কারাদণ্ড ও ২ কোটি ২৮ লাখ ৩১ হাজার ৩১৫ টাকা জরিমানা করেন বগুড়ার স্পেশাল জজ আদালত। বগুড়ার এক সময়ের যুবলীগ নেতা আব্দুল মতিন সরকার এবং তার ছোট ভাই শ্রমিক লীগ নেতা তুফান সরকার তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনামলে শাসক দলের কতিপয় নেতার ছত্রছায়ায় জেলাজুড়ে ত্রাসের রাজত্ব সৃষ্টি করেছিল। মাদক ব্যবসা ও চাঁদাবাজিই ছিল তাদের মূল পেশা। কেউ বাধা দিলেই তাকে হত্যা করতেও দ্বিধা করতো না।
দুই ভাইয়ের বিরুদ্ধে একাধিক হত্যা মামলাও রয়েছে। ইতিপূর্বে একটি অস্ত্র মামলায় আব্দুল মতিন সরকারের ২০ বছরের সাজা হয়। সেই সাজার বিরুদ্ধে আব্দুল মতিন সরকার উচ্চ আদালতে আপিল করে।
ভালো কলেজে ভর্তির প্রলোভন দেখিয়ে ২০১৭ সালের ১৭ জুলাই এক কিশোরীকে ধর্ষণ এবং তাকে ও তার মায়ের মাথা ন্যাড়া করার ঘটনায় দেশজুড়ে ব্যাপক সমালোচনা হলে পুলিশ তুফানকে গ্রেফতার করতে বাধ্য হয়। সেই ‘তুফানকাণ্ডের’ পর আব্দুল মতিন সরকারও গা ঢাকা দিতে বাধ্য হয়েছিল। ওই ঘটনার পর শ্রমিক লীগের বগুড়া শহর কমিটির আহ্বায়কের পদ থেকে তুফান সরকারকে এবং শহর যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকের পদ থেকে আব্দুল মতিন সরকারকে বহিষ্কার করা হয়।